ঝিনাইদহের শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ, নিহত ১

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ জেলা থেকে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার হওয়া শতাধিক ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তাদের মধ্যে একজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মানুষ পাচারকারী দালালরা গাঢাকা দিয়েছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামের আমিরুল ইসলাম দালালদের প্রলোভনে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় মারা গেছেন। তার পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম।  স্ত্রী বিথী খাতুন দু’টি নাবালক সন্তান নিয়ে দিশেহারা। তিন মাস আগে কিবরিয়া নামের এক মানুষ পাচারচক্রের দালালের মাধ্যমে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ২৩ দিন সাগরে ভাসার পর মারা যান। তার লাশ সাগরে ফেলে দেয়া হয়। তার এক  সহযাত্রী মোবাইল ফোনে মৃত্যু সংবাদটুকু জানিয়েছিলেন। ঝিনাইদহ জেলায় সাগর পথে মালয়েশিয়াগামী নিখোঁজদের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত শতাধিক নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। মানব পাচারকারী দালালরা গা ঢাকা দিয়েছে। কাল্পনিক গল্প শুনিয়ে ফাঁদে ফেলা হতো। বাড়ির কাউকে জানাতে নিষেধ করা হতো। তারপর একদিন অত্যাচার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে  টাকা দাবি করা হয়। মোবাইলে ভিকটিমের কথা শুনানো হয়। ভিকটিম বলতে থাকে আব্বা টাকা দাও। নইলে আমাকে মেরে ফেলবে। শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের সত্য সরকারের ছেলে পিযুস সরকার ও কুমড়েদা গ্রামের সুকুমার বিশ্বাসের ছেলে তপন বিশ্বাস দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নিখোঁজ রয়েছে। আরো নিখোঁজ রয়েছে একই উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের যুবক সাবু, মতলেব ও তরুন এবং রূপদা গ্রামের ৫ জন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার সরাবাড়িয়া গ্রামের পাঁচজন ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গিলাবাড়িয়া গ্রামের তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। প্রতি উপজেলা থেকে সাগর পথে মালয়েশিয়াগামীদের নিখোঁজের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে এ জেলার শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। এ পর্যন্ত পাচারকারী দালালদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। ছয়জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানুষ পুলিশকে দালালদের সম্পর্কে জানাচ্ছে না।