ঝিনাইদহের চারটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের চারটি সংসদীয় আসনে ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম ও ৬ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন।

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বতর্মান সাংসদ আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টির মনোনীত মনিকা আলম, জাতীয় পার্টি (জেপির) প্রার্থী সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফা ও ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুণ্ডু) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সফিকুল ইসলাম অপু ও জাতীয় পার্টির ড. এম হারুন অর রশীদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সদ্য ঘোষিত রাজনৈতিক দল বিএনএফ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মমিনুল ইসলাম।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ ও সাজ্জাতুয জুম্মা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা বর্তমান সংসদ সদস্য সফিকুল আজম খান চঞ্চলও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে কামরুজ্জামান স্বাধীন ও আব্দুর রহমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আজীম আনার, জাতীয় পার্টির আমিরুল ইসলাম ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোস্তফা আলমগীর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, জেলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জেপি, বিএনএফ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। এদের মধ্যে ১৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রার্থীদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চারটি আসনেই দলীয় একক প্রার্থী দিয়েছে। তবে এর বিপরীতেও দলীয় নেতারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।