ঝিনাইদহের চারটি আসনের ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের চারটি আসনের ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক রিটার্নিং অফিসার শফিকুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল হাই নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ারদার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬২৮ ভোট। তবে দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ারদার সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এ আসনে জেপি-মঞ্জু মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বাইসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৩৯৫ ভোট পেয়েছেন। ঝিনাইদহ-১আসনে মোট ভোটার ছিলো ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন।

ঝিনাইদহ-২ (সদর ও হরিণাকুণ্ডু ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি আনারস প্রতীকে ৬৭ হাজার ৯৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সফিকুল ইসলাম অপু নৌকা প্রতীকে ৫১ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে বিএনএফ মনোনীত প্রার্থী মোমিনুল ইসলাম টেলিভিশন প্রতীকে ৯৬৯ পেয়েছেন। ঝিনাইদহ-২ আসনে মোট ভোটার ছিলো ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪০ জন।

ঝিনাইদহ-৩ (কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নবী নেওয়াজ নৌকা প্রতীকে ৪৬ হাজার ৭০১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির কামরুজ্জামান স্বাধীন লাঙ্গল প্রতীকে ১ হাজার ৪৯৯ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিকুল আজম খান চঞ্চল কলস প্রতীকে ২০৫ ভোট পেয়েছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৭৭০ জন আর ভোটকেন্দ্র ১৪৭টি। তবে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জাম পুড়িয়ে ফেলার কারণে ২০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে প্রশাসন।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম আনার নৌকা প্রতীকে ৮৪ হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়ার্কার্স পার্টির মোস্তফা আলমগীর হাতুড়ি প্রতীকে ৪ হাজার ৬০৬ ভোট পেয়েছেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনে মোট ভোটার ছিলো ২ লাখ ৫২ হাজার ৬০৪ জন।