ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ায় অপমান ও লজ্জায় ধর্ষিতার আত্মহত্যা

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিউটি বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ায় অপমান ও লজ্জায় সে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। গতকাল রোববার দুপুরে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মনিরুদ্দিন মোল্লা জানান, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলামের মেয়ে বিউটি খাতুনের সাথে একই উপজেলার আমবাগান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিঠু মিয়ার ২০১০ সালে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে হৃদয় নামের একটি পুত্রসন্তান আসে। বিয়ের দু বছর পর মিঠু মিয়া তার স্ত্রী বিউটি খাতুনকে তালাক দেয়। গত জানুয়ারি মাসে মিঠু মিয়া তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে বিয়ের প্রলোভন দিতে থাকে। তার কয়েক দিন পরে বিয়ের কথা বলে মিঠু মিয়া বিউটিকে নিয়ে চট্রগাম বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে গত ১০ দিন আগে বিউটি বেগমকে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের একটি কলাক্ষেতে নিয়ে মিঠু মিয়া ও তার কয়েকজন সহযোগী মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে তারা তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপকভাবে প্রচার হলে লজ্জা ও অপমান সইতে না পেরে বিউটি শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই মিঠুন ইসলাম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় বিউটির সাবেক স্বামী মিঠু মিয়াকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গতকাল দুপুর ১টায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালমর্গে বিউটি খাতুনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।