ঝিনাইদহের এক যুবককে মালয়েশিয়ায় গলা কেটে খুন

মনজুর আলম: বেশি টাকায় ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে লিয়াকত হোসেন মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়ে ছিলেন। কিন্তু টাকার কারণে সেখানে দুর্বৃত্তদের নৃশংসতার শিকার গতে হলোলিয়াকত হোসেনকে। দুর্বৃত্তরা লিয়াকত হোসেনকে ধারালো আস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলাকেটে জবাই করে হত্যা করেছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তদের নৃশংসতার শিকারের কথা পরিবারের লোকজন জানতে পারে। কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ পিতা-মাতা নিকাটজনেরা। গতকাল বুধবার লিয়াকত হোসেনের লাশ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের পৌঁছে। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। নিহত লিয়াকত আলী ওই গ্রামের খালপাড়ার আব্দুর রশিদের মেজ ছেলে।

নিহতের বড় ভাই আবু বকর জানান, লিয়াকত আলী পরিশ্রমী ছিলেন। মালয়েশিয়ার আলোন্দ্রা নামক স্থানে একটি বেসরকারি প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। পরিশ্রম আর কর্মদক্ষতায় কারণে কারকাখার কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন। বেতনভাতা বাড়িয়ে দেয়া হয়। স্বচ্ছলতা আসে সংসারে। সংসারের আয় আর বিদেশি অর্থে কিছু দিনের মধ্যেই ছোট ভাই কেরামত আলীকে কুয়েত আর ছোট ভাই আমিরুল ইসলামকে ইটালি পাঠানো হয়েছে। বিদেশে ভাইদের ভালোই কাজকর্ম চলছিলো। তিনি আরো জানান, ছোই লিয়াকত হোসেনকে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছিলো। কোটচাঁদপুরে একটি মেয়ে দেখে বিয়ের সকল কথাবাত্রা হয়ে গেছে। এজন্য গ্রামে বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি লিয়াকতের সাথে কথা হয়েছে। বাড়ির কাজ শেষ করার জন্য ৯ লাখ টাকা তোলেন তিনি। এরপর আর যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো না। দু দিন পর ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তদের নৃশংসতার শিকারের কথা আমরা জানতে পারি। অর্থের কারণে দুর্বৃত্তরা তাকে কারখানার অদূরে তার বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।