ঝাঁজাডাঙ্গার ডাকাত সর্দার আনছার আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

 

দামুড়হুদা/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কোমরপুরের মাঠ থেকে আনছার আলী নামে এক সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত আনছার আলী উপজেলার ঝাঁজাডাঙ্গা গ্রামে মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকালে কৃষকরা কাজ করার জন্য কার্পাসডাঙ্গার নিকটবর্তী কোমরপুরের নলডাঙ্গা মাঠে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। তার বুকের ডানপাশে একটি এবং ডান কানে আরেকটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার সারাদেহে কালো কালো আঘাতের চিহ্ন ছিলো।

এলাকাবাসী জানায়, খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল খালেক, এসআই বাকী বিল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেন। নিহতের স্বজনরা জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনছার আলী তার মামাবাড়ি উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামে বেড়াতে যায়। মামাবাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় গভীর রাতে কালো পোশাকে কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো হদিস পায়নি পরিবারের লোকজন। তার কোনো ছবি না থাকায় থানায় জিডি করাও সম্ভব হয়নি বলেও তারা জানান। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে জানাজা শেষে নিজ গ্রামের কবরস্থানে নিহত আনছার আলীকে দাফন করা হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, নিহত আনছার আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও ছোট ভাই আশরাফ আলী থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন। বিকেল ৩টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় লাশ নিহতের পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ডাকাতির টাকা ভাগাভাগি অথবা আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত আনছার ছিলো এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ও দামুড়হুদা থানায় বিস্ফোরক, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ ৫টি মামলা আছে। এছাড়া সে একটি বিস্ফোরক মামলায় ১০ বছর কারাভোগ শেষে বছর দেড়েক আগে এলাকায় ফিরে পুনরায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ৪ সন্তানের জনক নিহত আনছার আলী ছিলেন ৬ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে ৪র্থ। এদিকে ডাকাত সর্দার আনছার আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের পর থেকে এখনও কেউ ওই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার না করায় এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলে বলেছে, তাহলে তাকে গুলি করলো কারা?  তারা এও বলেছে, তার বুকে ও কানে নল ঠেকিয়ে গুলি করা হয়েছে। গুলি করার ধরন দেখে মনে হচ্ছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকজনই তাকে গুলি করেছে।