জয়পুরহাটে বাসে পেট্রল বোমা : নিহত ১

২০ দলীয় জোটের ডাকে লাগাতার অবরোধের ৬২তম দিন

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকে লাগাতার অবরোধের ৬২তম দিন ছিলো গতকাল রোববার। অবরোধের পাশাপাশি চলছে হরতাল। এদিন জয়পুরহাটে বাসে ককটেল হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাসের ছাদ থেকে পড়ে ১ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। এছাড়া রাজধানীতে ৩ এবং কুমিল্লার চান্দিনায় ১টি বাস, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ও চাঁপাইনববাগঞ্জের ভূমি অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। পল্টসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে আহত হয় কয়েকজন। ককটেল-পেট্রোলবোমায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে অর্থিক সহায়তা দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জে পল্লী বিদ্যুত কার্যালয়ের ভেতরে ১টি স্টাফ বাস, সকাল ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের পুলিশ বক্সের কাছে ১টি ট্রাকে ও সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের সামনে ১টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। বেলা ১১টার দিকে পল্টন মোড়ে একটি মিছিল থেকে অন্তত ১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। প্রায় একই সময় ৫-৬টি গাড়ি ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে ওই এলাকাজুড়ে ব্যাপক আতংক দেখা দেয়। ঘটনাস্থলে হকার, পথচারী যাকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে ২৪ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়।

জয়পুরহাটে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে  উজ্জল কুমার মোহন্ত (৩৭) নামের এক বাসযাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ বিকালে জেলার ক্ষেতলাল-মোলামগাড়ী সড়কের করিমপুরে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জনকল্যাণ পরিবহনের একটি বাসে ২টি  মোটরসাইকেলযোগে পেট্রলবোমা ও ককটেল ছুড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটি রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এ সময় বাসের যাত্রী উজ্জল কুমার  মোহন্ত (৩৭) মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আহত মোহন্তকে জয়পুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ঘটনার পরপরই এলাকার লোকজন ৬ দুর্বৃত্তকে ধাওয়া করে গণপিটুনি দেয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫টি পেট্রোলবোমা ও একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।