জ্বালানি নিয়ে ঝগড়া : সতীনপুত্রের ছুরিকাঘাতে মৃত্যুশয্যায় ফাহিমা

আলমডাঙ্গার জামজামি ভদুয়ার আক্কাস একের পর এক বিয়ে করে সংসারে ধরিয়েছে অশান্তির আগুন

 

স্টাফ রিপোর্টার: সতীনের ছেলের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম ফাহিমা খাতুনকে (৩৬) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফাহিমা খাতুন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের ভদুয়া গ্রামের আক্কাস আলী পাটকাঠি ও বরজের শলি ব্যবসায়ী। এ ব্যবসায়ী সমিতির নেতাও তিনি। নিজ ঘরে প্রথম স্ত্রী রেখে একের পর এক পরস্ত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে বিয়ে করে ঘরে তুলে সংসারে অশান্তির আগুন ধরিয়েছে। মাঝে মাঝেই সংসারে সতীনদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। গতকাল সন্ধ্যায় আক্কাস আলীর প্রথম স্ত্রীর সাথে তৃতীয় স্ত্রী ফাহিমার ঝগড়া বাধে। জ্বালানি-পাঠকাঠি নিয়ে দু সতীনের ঝগড়ার মাঝে প্রথম স্ত্রীর ছেলে হাসান ধারালো অস্ত্র ছুরি নিয়ে ছুটে যায় তার সৎ মার ফাহিমার দিকে। পেটে বুকে ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নিজেদের বাড়ির উঠোনে।

রক্তাক্ত অবস্থায় ফাহিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে জামজামি বাজারের একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখান থেকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তারেক হাসান শাহীন। তিনি বলেন, রোগী ফাহিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে হয়তো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এক ব্যাগ রক্তও দিতে হয়েছে ফাহিমার শরীরে।

উল্লেখ্য, ফাহিমা খাতুন ছিলেন অন্যের স্ত্রী। কয়েক মাস আগে বিয়ে করে ঘরে তোলে। ফাহিমার আগেও হালসা থেকে এক পরস্ত্রীকে বিয়ে করে ঘরে তুলে আক্কাস সমালোচিত হয়। দ্বিতীয় স্ত্রীকে সম্প্রতি ত্যাগ করে।