জ্বলন্ত হারিকেনে কেরোসিন ঢালতে গিয়ে মা-মেয়েসহ তিনজন দগ্ধ

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মোক্তারপুরে সন্ধ্যার পর বিদ্যুত চলে যাওয়ায় বিপত্তি
স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্যুত বন্ধ হওয়ায় হারিকেন জ্বালানোর সময় অগ্নিকা-ে মা-মেয়েসহ তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। গতরাত পৌনে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মোক্তারপুরে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। আগুনে ঝলসে অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরানো দেড় বছরের শিশু সন্তানসহ মা ও প্রতিবেশী এক কিশোরীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। গতরাতেই মা ও মেয়েকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধ দেড় বছর বয়সী সুমাইয়া দামুড়হুদা কুড়–লগাছির সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। সুমাইয়াকে নিয়ে তার মা সীমা খাতুন পিতা আজিজুল হকের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে অগ্নিকা-ের শিকার হন। আজিজুল হকের প্রতিবেশী বকুল হোসেনের মেয়ে আসমা খাতুন ওদের বাড়িতে গিয়ে আগুনে ঝলসে এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, সীমা খাতুন (২০) তার শিশুকন্যা সুমাইয়াকে নিয়ে পিতার বাড়িতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পাশে ছিলো কিশোরী আসমা খাতুন (১৬)। রাত পৌনে ৮টার দিকে বিদ্যুত চলে যায়। সীমা খাতুন হারিকেন জ্বালান। তাতে তেল না থাকায় জ্বলন্ত হারিকেন কাত করে তেল ঢালতে শুরু করেন। এ সময় আগুন কেরোসিনে ছড়িয়ে পড়লে সীমা খাতুন, তার মেয়ে সুমাইয়া ও পাশে থাকা আসমা খাতুন আগুনে দগ্ধ হয়। চিৎকারে বাড়ির লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততোক্ষণে আগুনে ঝলসে গুরুতর আহত হয় তিনজন। এদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। শিশু সুমাইয়াকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরে অবশ্য সুমাইয়া ও তার মা সীমাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, শিশু সুমাইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক।