জেল থেকে বের হয়েই দলিল লেখকদের আবারও প্রাণনাশের হুমকি

 

 

৬ দলিল লেখকের একযোগে থানায় জিডি

 

স্টাফ রিপোর্টার: জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে দলিল লেখকদের আবারও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুরের আলোচিত বাবু। গত বুধবার বেলা ১২টার দিকে বাবু তার দলবল নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যায় এবং প্রতি সপ্তায় মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না পেলে দলিল লেখকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত বাবুর দুলাভাই দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান লিটনসহ মোট ৬ জন দলিল লেখক একযোগে বুধবার রাতেই দামুড়হুদা মডেল থানায় জিডি করেছেন।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত বুধবার বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা দলিল লেখক সমিতির মিটিং চলছিলো। এসময় উপজেলার পুরাতন বাস্তপুরের (বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়া) আলম হোসেনের ছেলে আক্তারুজাজামান বাবুসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ওই মিটিঙে গিয়ে প্রতি সপ্তায় মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবংদলিল লেখকদের হুমকি দিয়ে বলে যদি টাকা না পাই তাহলে কাউকেই জানে বাঁচতে দেবোনা। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি অভিযুক্ত বাবুর দুলাভাই আসাদুজ্জামান লিটন, সেক্রেটারি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্মসম্পাদক মোমিনুল ইসললাম, সাংগঠনিক জাহাঙ্গীর আলাম তোতা, কোষাধ্যক্ষ শমসের আলী ও সদস্য রেজাউল হক একযাগে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন সোমবার বিকেলে দামুড়হুদা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলামের নিকট মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে বাবু ও তার সাথে থাকা সাঙ্গপাঙ্গরা। সিরাজ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। রক্তাক্ত জখম সিরাজকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। দীর্ঘ এক সপ্তাহ যাবত চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফেরেন এবং গত ২৮ জুন দামুড়হুদার পুরাতন বাস্তপুরের আলম হোসেনের ছেলে বাবুকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে দামুড়হুদা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ৭ জুলাই সোমবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি শিকদার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে এএসআই নিয়াজ মোর্শেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে অভিযুক্ত বাবুকে আটক করেন। আটক বাবুকে ওই দিন দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। ওই মামলায় বাবু সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়ে গত বুধবার আবারও দলিল লেখকদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়।