জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লু জেলহাজতে

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার হাপানিয়ায় ঈদের নামাজের সময় ঈদগায় সংঘর্ষ : জয়নাল খুন মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লুকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আলমডাঙ্গার হাপানিয়া গ্রামের জয়নাল হত্যা মামলার আসামি তিনি। উচ্চ আদালতের ৮ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। বিচারক মুস্তাফিজুর রহমান তার জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামে গত ঈদুল আযহার নামাজ শেষে স্থানীয় ইউপি সদস্য বক্তব্য দিচ্ছিলেন। তার বক্তব্য তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য কয়েকজন মুসল্লি তাগাদা দেন। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা ইনতাজুল ও আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ারসহ তার অনুসারীরা তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চালানো হয় বোমা ও গুলি। আহত হন সুইট, ফিরোজ, মকলেস, কায়েম, নজরুল, মন্টু, আজিজুল, জয়নালসহ ১০জন। আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে জয়নালকে (৩৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়নাল। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। সংঘর্ষের ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে জিল্লুর রহমান ও হাপানিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে ইনতাদুলসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও মারামারির মামলা করেন। এই মামলায় গত ২০১৭ সালের ৯ জানুয়ারি জিল্লুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তার জামিন নেন। গতকাল সোমবার বেলা ২টার দিকে তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। বিচারক মুস্তাফিজুর রহমান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। অপরদিকে পুলিশসূত্রে জানা গেছে, মামলাটির তদন্ত বর্তমানে শেষ পার্যায়ে।