জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সাইফুলসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম

 

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলামসহ (২৮) দুজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে ছাত্রলীগের স্থানীয় প্রতিপক্ষ গ্রুপ।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আলমডাঙ্গা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সামনে কয়েকজন যুবক তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপায়।তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইউনাইটেড প্রাইভেট হাসপাতাল, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকুলা গ্রামের জালাল মাস্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও জগন্নাথপুরের আতিয়ার রহমানের ছেলে মাসুদ রানা বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করে আসছিলো। গতকাল ভোরে তারা বাড়ি আসে। দুপুরে আলমডাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে অবস্থানকালে কতিপয় যুবক মোটরসাইকেলযোগে তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে চাপাতি,রামদা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তারা সাইফুলের দু হাত-পা ও পশ্চাদদেশ কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এছাড়া মাসুদ রানার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।সাইফুল ইসলামের ডান হাত কব্জির ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম। স্থানীয় জনগণ তাদেরকে ইউনাইটেড প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।সেখানে সাইফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতেই তাকে মাইক্রোবাসযোগে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

মারাত্মক আহত সাইফুল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের স্থানীয় প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর ওই বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১ বছর আগে পুটিমারী গ্রামে সাইফুল ইসলামের সাথে আলমডাঙ্গার স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার মারিমারির ঘটনা ঘটে।ওই সময় সাইফুল ইসলামের একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়।এ নিয়ে দু পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। ওই ঘটনার পর থেকে দু গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এরই এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ঢাকায় অবস্থান করে। দীর্ঘদিন পর গতকাল বাড়ি ফিরলে তার ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করা হয়।