জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু

জুনিয়র স্কুল সাটিফিকে ও জুনিয়ার দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা শুরু : আজও রয়েছে পরীক্ষা

 

প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গায় জেএসসিতে অনুপস্থিত ৩৪২ জেডিসিতে ৪২৫ মেহেরপুরে ২৭২ ও ৫৪ : প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল জেএসসিতে ইংরেজি প্রথম পত্র ও জেডিসিতে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় কিছু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সেএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে জোর গুঞ্জন ওঠে। জাল হওয়া প্রশ্নের সাথে পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রশ্নের মিলও পাওযা গেছে কেউ কেউ জানালেও তার সত্যতা অবশ্য নিশ্চিত করা সম্ভভ হয়নি। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পরীক্ষা পরিদর্শন নিয়ে ব্যবস্ত সময় কাটান।

পরীক্ষায় ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৩ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৩ জন। আজ শুক্রবার জেএসসির বাংলা প্রথম পত্র এবং জেডিসির কোরআন মজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা দুপুর সোয়া ২টা থেকে শুরু হবে। ৪ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৬ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া বাংলা ২য় পত্র এবং আরবি ১ম পত্র পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  মন্ত্রী বলেন, হরতালে কোমলমতি পরীক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি, চাপ, আতঙ্ক-ভীতি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।

গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল জেএসসিতে ইংরেজি প্রথম পত্র ও জেডিসিতে আরবি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৩ জন এবং জেডিসিতে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৩ জন। আজ শুক্রবার জেএসসির বাংলা প্রথম পত্র এবং জেডিসির কোরআন মজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা দুপুর সোয়া ২টা থেকে শুরু হবে। ৪ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৬ নভেম্বরের স্থগিত হওয়া বাংলা ২য় পত্র এবং আরবি ১ম পত্র পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জেএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তাসলিমা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  মন্ত্রী বলেন, হরতালে কোমলমতি পরীক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তি, চাপ, আতঙ্ক-ভীতি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। তাদের ফল খারাপ হয়। ৫০ লক্ষাধিক জেএসসি-পিএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৪ কোটি পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় নিয়ে জানমাল ও অর্থনীতি বিধ্বংসী হরতাল না করার জন্য তিনি বিরোধীদলের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রথম দুদিনই পরীক্ষা দিতে পারলো না। এটি জাতির জন্য বেদনাদায়ক। পরে মন্ত্রী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ায় জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উভয় কেন্দ্রে তিনি অভিভাবকদের সাথেও কথা বলেন।

সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলার ৪টি উপজেলার ২১টি কেন্দ্রে ইংরেজি ১ম পত্র ও আরবি ২য় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার জেলায় ১২ হাজার ৮১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১২ হাজার ৩৯৪ জন। এর মধ্যে জেএসসিতে ১৬টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৯০৮ জন এবং জেডিসিতে ৫টি কেন্দ্রে ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, এবারের জেএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিন ছিলো ইংরেজি ১ম পত্র। পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ২১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৮৮ জন, আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৩১ জন, দামুড়হুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৭০ জন, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪৪ জন, জীবননগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭০৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে করে ৬৭৯জন, মুন্সিগঞ্জ একাডেমীতে ৮৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১১ জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৩৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৩০৬ জন, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫২ জন, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬০৫ জন, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ৯০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৭১ জন, হাটবোয়ালিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৬৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৬১ জন, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪২৭ জন, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৪০ জন, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ২৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৬ জন, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২৮২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭৮ জন ও দামুড়হুদা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ৫৫৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ছিলো আরবি ২য় পত্র। পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র আলিয়া মাদরাসায় ৩১১ জনের মধ্যে ২৮৬ জন, জীবননগর উপজেলা আলিয়া মাদরাসায় ৩৩৪ জনের মধ্যে ৩১৮ জন, দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসায় ২৮৬ জনের মধ্যে ২৬৫ জন, আলমডাঙ্গা সিদ্দিকীয়া আলিয়া মাদরাসায় ৩১৪ জনের মধ্যে ৩৫ জন, কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় ২৬৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন মেহেরপুরে সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে জেএসসি পরীক্ষায় ৭ হাজার ২শ’ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় ৭৫৩  জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। জেলার ৬টি কেন্দ্রে  মোট জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো ৭ হাজার ৪৭২ জন এবং ২টি কেন্দ্রে মোট জেডিসি পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ছিলো ৮০৭ জন। প্রথম দিনে জেএসসি পরীক্ষায় ২৭২ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় ৫৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো।

গতকাল জেএসসি পরীক্ষার্থীয় মেহেরপুর সদর উপজেলার ৩টি কেন্দ্রের মধ্যে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ৩৬৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৩১১ জন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪১ জন ও আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬২৬ জন, গাংনী উপজেলার ২টি কেন্দ্রের মধ্যে গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এক হাজার ৮৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৭৩৯ জন ও বামন্দী নিশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার  ৪৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৩৯৬ জন এবং মুজিবনগর উপজেলার মুজিবনগর উপজেলার একমাত্র কেন্দ্র মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার ২২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ১৮৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এছাড়া জেডিসি পরীক্ষায় মেহেরপুরের একমাত্র কেন্দ্র মেহেরপুর দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে ৫১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪৮২ জন ও গাংনী উপজেলার একমাত্র কেন্দ্র গাংনী মাদরাসা কেন্দ্রে ২৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৭১ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। জেলার ৩ উপজেলার মোট ৮টি কেন্দ্রে প্রথম দিনের পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখেন।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে. জীবননগর উপজেলায় জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার ৫টি কেন্দ্র ও ৫টি ভেন্যুতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইংরেজী ১ম পত্র ও আরবী ২য় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর উপজেলায় ২ হাজার ৩শ ৭১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে ২ হাজার ২শ ৯৮ জন। এর মধ্যে জেএসসিতে ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৯শ ৮০ এবং জেডিসিতে ১টি কেন্দ্রে ৩শ ১৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জীবননগর উপজেলার জীবননগর পাইলট বহুমূখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে, জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, মনোহরপুর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও হাসাদহ মডেল ফাজিল মাদরাসা ভেন্যুতে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ৩৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯শ ৮০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭০৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭৯, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৮২ জনের মধ্যে ২৭৮ জন, উথলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬৪ জনের মধ্যে ২৫৬, আন্দলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৩৯ জনের মধ্যে ৪২৭ এবং হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩৪৪ জনের ৩৪০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলো। অপরদিকে জেডিসি পরীক্ষায় জীবননগর আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ৩৩৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১৮ জন উপস্থিত ছিলো।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় জেএসসি পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৮২ জনের মধ্যে ৭৫২, আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৫৫ জনের মধ্যে ৯২৫, হাটবোয়ালিয়া কেন্দ্রে ৪৬৮ জনের মধ্যে ৪৬১ এবং মুন্সিগঞ্জ একাডেমী কেন্দ্রে ৪৫২ জনের মধ্যে ৪৩৯ জন  পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এছাড়া জেডিসি পরীক্ষায় আলমডাঙ্গা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ৩১৪ জনের মধ্যে ৩০৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা উপজেলায় দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল ও কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসা ও কার্পাসডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা উপজেলার সবগুলো কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেএসসিতে কার্পাসডাঙ্গা কেন্দ্রে ৬৪০ জনের মধ্যে ৬০৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রেজাউল করিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ হোসেন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। জেডিসিতে কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল (বিএ) মাদরাসা কেন্দ্রে ২৬৬ জনের মধ্যে ২৫৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় দুটি কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা মেমনগর মূল কেন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল পরীক্ষার শুরু দিনে দুটি কেন্দ্রে ৯৬৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯৪৪ জন। ২৫ জন পরীক্ষার্থী ছিলো অনুপস্থিত। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোনো পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়নি। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার।

আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এই প্রথম বারের মতো আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। এ কেন্দ্রে ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৮০ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রসচিব ছিলেন আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুল ইসলাম ও হল সুপার ছিলেন বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম।

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও উপকেন্দ্র হিসেবে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৯৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৫২ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রসচিব ছিলেন সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলজার হোসেন ও হলসুপার ছিলেন তিয়রবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসিতে ৪৩৯ জনের মধ্যে ৪৩২ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। জীবননগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান ও ম্যাজিস্ট্রেট রেজা হাসান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।