জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া অনেকটা কঠিন

চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবাষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে অফিসার্স ক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘের সভাপতি ডা. শাহীনূর হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গার সম্পাদক ও প্রকাশক সরদার আল আমিন। বিশেষ আলোচক ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন এমএম জোহা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী বিশ্বাস, সংগঠনের উপদেষ্টা দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল গফুর, পদ্মবিলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. সেলিম উদ্দিন খাঁন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, লেখক সংঘের সহসভাপতি ওমর আলী মাস্টার, শ্রী সুরেশ কুমার আগরওয়ালা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিক্ষানুরাগী হাজি মো. আব্দুল্লা শেখ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে লেখাটাকে লেখকরা পেশা হিসেবে নিতে পারছেন না। এখানেই লেখকদের কিছুটা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। যেহেতু লেখালেখি একটা সংবেদনশীল বিষয়, এটার জন্য একজন লেখককে আলাদা করে ভাবতে হয়, মনোযোগ দিতে হয়। সেক্ষেত্রে অন্য একটা কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে পাশাপাশি লেখালেখি চালিয়ে যাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তারপরও আমাদের দেশে এতো বড় একটি জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদেরকে পাঠক হিসেবে তৈরি করার দায়িত্ব লেখকদের। সে জায়গাটায় লেখকদের আরও ভালোভাবে কাজ করা উচিত। তাই লেখকদেরও পড়তে হবে, লিখতে হবে, ভালো সাহিত্য সৃষ্টিতে আরও মনোযোগী হতে হবে। তরুণ লেখকদের জন্য এখন একটি অনুপ্রেরণা। সদা হাস্যোজ্জ্বল, বিনয়ী এই লেখক বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে তরুণ যারা আছেন তারা বইয়ের বাজার ও লেখালেখির জায়গাটাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে ও নতুন করে পাঠক জোয়ার তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছে, জেলাভিত্তিক আবৃত্তি প্রতিযোগিতা (কবিতা) ক’ গ্রুপে প্রথম উম্মে সওদা আলম, দ্বিতীয় প্রিয়া ছন্দ মেঘ, তৃতীয় মাইশা জাহান সাবা। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে আল নোমান, দ্বিতীয় রিফাত তাসনিন খুকুমনি, যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে রুম্মান বিশ্বাস রাজু ও আবু সাদাত রাকিব। ‘গ’ গ্রুপে ফাতিমা ইসলাম নাইস, দ্বিতীয় মেহেরুন ন্নেসা, তৃতীয় ইভা খাতুন। ‘ঘ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে শারমিন রিচি, যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে আফসানা কণা ও মাহমুদুল হাসান, যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে তাজমিন নাহার ও চয়নিকা শারমিন। ‘ঙ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে আব্দুল আল নোমান, দ্বিতীয় সবুজ রানা ও তৃতীয় হয়েছে ফাতিমা ইসলাম নাইস। হস্ত লিখন ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে তাসনিম জামান, দ্বিতীয় রাজ মিঞা ও তৃতীয় শেখ রিজন। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে ফাওজিয়া তাসনিম, দ্বিতীয় সুমাইতা আহসান ও তৃতীয় তাসফিয়া তাসনিন শোভা। ছবি অঙ্কন ‘ক’ গ্রুপে প্রথম সাদিকা নাহিয়ান নুশা, দ্বিতীয় স্বন্দীপ বসু ও তৃতীয় সাইমা রহমান। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে নুসরাত ইসলাম ঐতিহ্য, দ্বিতীয় রিফাত তাসনিম ও তৃতীয় মাসম মুশফিক মেরাজ। সঙ্গীতে প্রথম হয়েছে নকশী রহমান, দ্বিতীয় জিতু আহসান ও কৃপা সাহা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।