জীবননগর হাসাদাহ জনতা ব্যাংকের স্টাফদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার জনতা ব্যাংক হাসাদাহ শাখার কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জীবননগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ব্যাংকের গ্রাহক উপাধ্যক্ষ জসীম উদ্দীন আহম্মেদ এ সংবাদ সম্মেলন করেন। একতারপুরের গ্রাহক আমিনুল ইসলামের পিতা আব্দুল হাকিমও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জনতা ব্যাংক হাসাদাহ শাখায় মাসিক ৫ হাজার টাকার কিস্তিতে ১০ বছর মেয়াদী জেবিডিএস নামীয় একটি ডিপিএস খোলেন। প্রতি মাসে তিনি ডিপিএসের মাসিক কিস্তির টাকা নিয়মিত জমা করে আসছিলেন। সম্প্রতি ব্যাংকে ২০ লাখ ৬৪ হাজার টাকার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়ে। ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপক মো. ই¯্রাফিল হোসেনসহ অন্যান্য ব্যাংক কর্মকর্তা ও ঝাড়ুদার ওমিদুল ইসলাম মিলে দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংকের ১২ জন গ্রাহকের হিসেব থেকে এ টাকা অন্য তিনটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে তা আত্মসাৎ করেছেন। এ সময় তিনি জানতে পারেন তার ডিপিএসের হিসেবে ৩টি কিস্তির ১৫ হাজার টাকা জমা পড়েনি। খবর পেয়ে তিনি জমা ভাউচার নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক আব্দুস সামাদ ভাউচার যাচাই-বাছাই করে তাকে জানান, ব্যাংক কর্মচারী ওমিদুল ইসলাম এ টাকা ব্যাংকে জমা না করে পকেটস্থ করেছেন। এ দায়ভার তার, ব্যাংক এ দায়ভার নেবে না। ডিপিএস’র নিয়ম অনুযায়ী পরপর ৩টি কিস্তির টাকা জমা না হলে ওই ডিপিএস বন্ধ হয়ে যাবে। এটিও তাই হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, তিনি যথারীতি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন। ব্যাংকের সিলমোহর দিয়ে এ টাকা নেয়া হয়েছে। এখন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এ টাকা জমা হয়নি। ব্যাংক এর দায়ভার নেবে না। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, তাহলে এর দায়ভার কার? ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির ফলে তার ডিপিএসটি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গ্রাহক আমিনুল ইসলামের পিতা আব্দুল হাকিম বলেন, তার ছেলে ৩০ হাজার টাকা রসিদের মাধ্যমে জমা করলেও তা তার হিসেবে জমা পড়েনি। তারা অবিলম্বে তাদের হিসেবে সমুদয় টাকা জমাকরণসহ দুর্নীতিবাজ ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।