জীবননগর সীমান্তে কিশোর হত্যার ঘটনায় বিএসএফ’র শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের মা ও বোন

 

স্টাফ রিপোর্টার: আম পাড়তে গিয়ে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নতুনপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত শিহাব উদ্দিনের পরিবার দোষী বিএসএফ সদস্যের শাস্তি দাবি করেছেন। গত শনিবারের ওই ঘটনার পর থেকে সীমান্তবর্তী আমবাগান থেকে আম পাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে গতকাল রোববার সকালে বিজিবি ও বিএসএফ’র মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার উপমহাপরিচালক মাহাবুবুর রহমান ও বিএসএফ’র পক্ষে কৃষ্ণনগর সেক্টর কমান্ডার ডিআইজি কৈলাশ লাল সাহা নেতৃত্ব দেন। এ সময় বিএসএফ উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বিজিবিকে আশ্বস্ত করেছে। এ সময় চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির ব্যাটালিয়ন পরিচালক লে. কর্নেল আমির মজিদ উপস্থিত ছিলেন।

রেজাউল করিম নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গ্রামের এনামুল হকের শ্রমিক হিসেবে শনিবার নতুনপাড়া সীমান্তের একটি আমবাগানে যায়। শিহাব ও তার চার বন্ধু গাছে ওঠে এবং নিচে ছয়-সাতজন ছিলো। বিএসএফ ধাওয়া করলে নিচে থাকারা পালিয়ে গেলেও গাছে থাকাদেরকে বিএসএফ নামায় ও বেধড়ক মারাপিট করে এবং খুব কাছ থেকে শিহাবকে গুলি করে হত্যা করে।

নিহত শিহাব উদ্দিনের মা দেলওয়ারা বেগম ও ছোট বোন জেসমিন খাতুন দোষী বিএসএফ’র শাস্তি দাবি এবং আর কোনো বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা না হয় সে বিষয়ে সরকারের কাছে দাবি করেছেন। একমাত্র ভাই শিহাবকে হারিয়ে বড় বোন নাসরিন খাতুন গতকাল রোববার দুপুরে হঠাৎ জ্ঞান হারান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

শিহাবের গ্রামের বাড়ি গোয়ালপাড়ায় শোকের পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় গ্রামবাসী হাফিজুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকায় সকল আমবাগানে গতকাল রোববার সকাল থেকে আমপাড়া বন্ধ রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির ব্যাটালিয়ন পরিচালক লে. কর্নেল  আমির মজিদ জানান, সীমান্ত এলাকায় আমবাগান লিজ নিয়ে বাংলাদেশিরা ব্যবসা করে থাকেন। বিষয়টি তার জানা ছিলো না। লিজের বিষয়টি রোধ করা হবে।