জীবননগর যাদবপুরে গৃহবধূ শিলার অস্বাবিক মৃত্যু : পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে আস্থা নেই পরিবারের

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণকারী গৃহবধূ শিলার পুলিশি সুরতহাল রিপোর্টে আস্থা নেই তার পরিবারের। শিলার পরিবারের দাবি তাকে তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও তার মা-বাবা যৌতুকের দাবিতে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে মিথ্যা আত্মহত্যার খবর প্রচার করে। গত ২৯ জুলাই এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মথুরা গ্রামের জিয়াউর রহমানের এজাহারসূত্র ও অভিযোগে জানা যায়, তার মেয়ে শিলা খাতুনের সাথে ২ বছর পূর্বে জীবননগর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে করিমনচালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সাথে বিয়ে হয়। গায়ের রঙ কাল হওয়ায় বিয়ের পর থেকে জাহিদ তার পিতা মশিয়ার রহমান ও মা ফজি খাতুন শিলার ওপর নির্যাতন শুরু করে। দাবি করে যৌতুক। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পর্যায়ক্রমে ৮০ হাজার টাকা ও একজোড়া গরু-বাছুর প্রদান করেন। আরো যৌতুকের দাবিতে তারা শিলার পরিবারের নিকট চাপ সৃষ্টিসহ তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পিতার অসুস্থতার কথা শুনে শিলা তার এক বছরের একমাত্র ছেলে জিসানকে নিয়ে পিত্রালয় মথুরায় যায় এবং পিতাকে দেখে ওই দিনই ফিরে আসে। দুপুরে স্বামী জাহিদের সাথে গরুর ঘাস কাটা নিয়ে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হলে জাহিদ তাকে মারাপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ৩০ লাশের এসআই আকরাম হোসেন সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়।

শিলার পিতার অভিযোগ, পুলিশ সঠিকভাবে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেনি। অনেক গরমিল রয়েছে। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে তাদের আস্থা নেই। এদিকে সুরতহাল রিপোর্টে শিলা খাতুনকে তার স্বামী জাহিদ কর্তৃক মারপিটসহ তার পিতার দায়েরকৃত এজাহারের সাথে মিল থাকতে দেখা গেছে।