জীবননগর গয়েশপুরে আটক দু কেজি সোনা থানায় জমা : মূল হোতা জামাল নয় গাজি

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্ত হতে ভারতে পাচারকালে প্রায় দুই কেজি সোনার বারসহ পাচারকারী রাকিব হোসেনকে (২৬) বিজিবি গতকাল বুধবার জীবননগর থানাতে সোপর্দ করেছে। জমাকৃত সোনা ওজন করে সিলগালা করেছে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও সেলিম রেজা। এদিকে এ সোনার মূল হোতা হিসেবে নতুনপাড়ার জামাল উদ্দিনের নাম প্রাথমিকভাবে জানা গেলে তার জড়িত থাকার বিষয়টির সত্যতা মেলেনি। এর মূল হোতা জীবননগর শাপলাকলিপাড়ার গাজি ও সুতো বাবুল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে আটক পাচারকারী রাকিব। মঙ্গলবার বিজিবি অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৮৬৫ গ্রাম সোনা আটক করে।
সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের খালিশপুরস্থ ৫৮ বিজিবির আওতাধীন গয়েশপুর বিওপির কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুস সাত্তার সঙ্গীয় বিজিবি সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে সীমান্তের ৬৮ মেইন পিলারের ১শ’ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোয়ালপাড়া আমবাগানের নিকট ওঁৎ পেতে বসে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতে সোনার চালান পাচারের উদ্দেশে বাইসাইকেলযোগে সীমান্তের দিকে যাওয়াকালে বিজিবি রাকিবকে আটক করে। আটক রাকিব নতুনপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে। আটকের পর তার দেহ তল্লাশি পায়ের উরুতে বিশেষ কৌশলে বাঁধা অবস্থায় ৬টি সোনার বার ও ৬টি সোনার বারের টুকরো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনার ওজন ১ কেজি ৮৬৫ গ্রাম বলে বিজিবি নিশ্চিত করে।
জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান জানান, উদ্ধারকৃত সোনার বারসহ আটককৃত রাকিব থানাতে সোপর্দ করা হয়েছে। ইউএনও এ সোনা ওজন করে সিলগালা করে দিয়েছেন। এ সোনা দর্শনা কাস্টমসে জমাদানের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। আদালতের অনুমতির পর তা কাস্টমসে জমা করা হবে।
এদিকে সীমান্ত ইউনিয়নের একটি সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে নিশ্চিত করেছিলো এ সোনার মূল হোতা নতুনপাড়ার মৃত সোরাপ মন্ডলের ছেলে জামাল উদ্দিন। কিন্তু জামাল উদ্দিনের এ সোনার সাথে জড়িত থাকার তেমন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ সোনার মূল হোতা জীবননগর শাপলাকলিপাড়ার গাজি ও সুতো বাবলু নামক একজন বলে আটক রাকিব জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। ১ হাজার টাকা হাজিরায় সে শাপলাকলিপাড়া থেকে এ স্বর্ণ ভারতে পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে স্বীকার করেছে।