জীবননগর কয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তর্কবিতর্ক : বিরোধের নগ্ন বহির্প্রকাশ

প্রতিপক্ষের েঁকোপে একজন খুন : জখম ৩

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামে ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ি কোপে একজন খুন ও ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত শরীফ উদ্দীন (২৫) কয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়া স্কুলমাঠের বাজারে নৃশংস এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কয়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলামের ধান বোঝাই পাউয়ার টিলার নিয়ে একই গ্রামের মোমিন উদ্দিনের ছেলে শাহাবুল দ্রুত গতিতে বাড়ি ফিরছিলো। পাউয়ার টিলারের চাকায় কাদা ছিটকে পথচারীদের শরীরে লেগে জামকাপড় নষ্ট হয়। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল বারীর ছেলে রবিউল ইসলাম তাকে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহাবুল ঘটনা রাশেদুল ইসলামকে বললে সেও উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ঘটনা ঘটে ৪দিন আগে। এরই জের ধরে গতকাল বিকেলে রবিউল ও তার চাচাতো ভাই শরীফ উদ্দীন কয়া স্কুলমাঠের বাজারে গেলে রাশেদুল তাদের সাথে ওই ঘটনা নিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু করে। উত্তেজনার একপর্যায়ে রাশেদুল বাড়ি থেকে হেঁসো এনে সজোরে সাইফুলের গলায় কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় রাশেদুলকে বাধা দিতে এলে সে রবিউল ইসলামকেও (৩৫) কুপিয়ে জখম করে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। এছাড়া আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মৃত জিয়াউর রহমানের ছেলে আত্তাপ আলী ও আব্দুর বারীর ছেলে কাশেম।

নিহত শরীফ এক সন্তানের জনক। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  জীবননগর থানা ওসি আব্দুল রকিব খাঁন জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালমর্গে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। ঘাতক রাশেদুল ইসলামকে গ্রেফতারে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।