জীবননগর কর্চ্চাডাঙ্গার শিশু সাথী হত্যা মামলার ৫ বছর পার : সিআইডি তদন্তে বাদীপক্ষ আশায় বেঁধেছে বুক

নারায় ভৌমিক: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কর্চ্চাডাঙ্গা লাইনপাড়ার বহুল আলোচিত শিশু সাথী হত্যা মামলার বাদীপক্ষ সুবিচার পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সিআইডি কুষ্টিয়া জোনের সহকারী পুলিশ সুপার তদন্তভার গ্রহণ করে সরেজমিন পরিদর্শন করলে বাদীপক্ষের মাঝে নতুন করে আশা জাগে। নিহত শিশু সাথীর পিতা মামলার বাদী সৈয়দ আলী পাটোয়ারী ওরফে সোহেল, দাদী শাহিনুর বেগম ও লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেছেন নতুন তদন্তকর্তা। তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তার সাথে সিআইডি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিদর্শক শরীফ মনজুরও ছিলেন।

জানা গেছে, সাথী হত্যা নৈপথ্য উদঘাটনে দীর্ঘ ৬ বছরে ৫ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে হত্যা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়ে থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালতে দাখিলি তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আরো অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা সিআইডি কর্মকর্তাকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তারই আলোকে শুরু হয়েছে তদন্ত।

গত ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কর্চ্চাডাঙ্গা লাইনপাড়ার সৈয়দ আলী পাটোয়ারী ওরফে সোহেলের একমাত্র মেয়ে ১ম শ্রেণির ছাত্রী সাথী (৫) বাড়ির পাশে স্কুলমাঠে ক্রিকেট খেলা দেখা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বাড়িতে তার প্রিয় দাদিকে না পেয়ে তার ছোট চাচা শামীম পাটোয়ারীর দোকানে দাদিকে খুঁজতে গিয়ে পথিমধ্যে সে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি ও এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়। ঘটনার দু দিন পর ২৪ ফ্রেরুয়ারি বাড়ির সামনে বাজদিয়া গ্রামের আবুল কালামের ভুট্টাক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।