জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ায় গ্রাম পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান অব্যহত

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউপির গ্রাম পুলিশের মাদক ও জুয়া বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল এলাকার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে দুই বোতল চোলাই মদসহ মাদক ও জুয়ার আড্ডা ভেঙে দিয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়া, আনছারবাড়িয়া স্টেশন ও হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রাম পুলিশের চৌকাসদল এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনা করাকালে গ্রাম পুলিশের উপস্থিতি দেখে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা আড্ডাখানা ছেড়ে সটকে পড়েছে। উদ্ধারকৃত চোলাই মদ ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়েছে।
এলাকাবাসী ও গ্রাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি চিহিৃত স্পটে মাদক ব্যবসায়ীরা নিয়মিত চোলাই মদ তৈরি, তাড়ি, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও হোরোইনের রমরমা আসরসহ সেবনকারীদের নিকট বিক্রি করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের নির্দেশে দফাদার বাবর আলী ওরফে বরকত উল্লার নেতৃত্বে গ্রাম পুলিশ নুরু বক্স সরদার, নওজেস আলী, শুকুর আলী, রজব আলী, রকিবুল ইসলাম ও আবুল কাশেম গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার মৃত বানাত আলীর ছেলে এলাকার চিহিৃত মাদকব্যবসায়ী সিদ্দিক, মৃত সোনাই ম-লের ছেলে কামাল হোসেন, মৃত মল্লিক ম-লের ছেলে ফয়জুল হোসেন, আনছারবাড়িয়া স্টেশন এলাকা ও হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জুয়াবিরোধী অভিযান চালান। অভিযান পরিচালনাকালে গ্রাম পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে মাদকব্যবসায়ী সিদ্দিক, ফয়জুল, কামাল হোসেনের মাদক আড্ডায় হানা দেয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে মাদকব্যবসায়ী ও আড্ডার সেবনকারীরা পালিয়ে যায়। গ্রাম পুলিশদল মাদক ব্যবসায়ী ফয়জুলের আড্ডাখানা থেকে নিধিুকু- গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে মহাসীন আলীর নিকট ২ বোতল চোলাই মদ উদ্ধারসহ তাকে আটক করে উত্তমমধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয়। হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জুয়াবিরোধী অভিযান চলাকালে জুয়াড়ীরা গ্রাম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পিটুনীর পর ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার মাথাভাঙ্গার এ প্রতিবেদককে বলেন, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ও জুয়াবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। মাদকব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।