জীবননগর আন্দুলবাড়িয়ার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে দূরে দূরে : সটকানোর সময় ধরে পুলিশে দিলো কয়েকজন

স্টাফ রিপোর্টার: জীবননগর আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার নির্যাতিতা গৃহবধূ নাছরিনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতরাত সোয়া ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নাছরিন মারা যাওয়ার আগেই তার স্বামী গোলাম রসুলের আচরণ সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। কৌশলে সে সটকে পড়তে চাইলেও হাসপাতাল সড়ক থেকেই তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। গতরাতে গোলাম রসুলকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কাস্টডিতে রেখে প্রাথমিক জিজ্ঞাজাসাদ করা হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার মৃত ইনতাজ আলীর ছেলে গোলাম রসুল বছরখানেক আগে নিশ্চিন্তপুরের নূর আলীর মেয়ে নাছরিনকে। নাছরিনকে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তুলে ফুঁসলে বিয়ে করে। নাছরিনের মামা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, গোলাম রসুল প্রথম স্ত্রী ঘরে রেখে আমার ভাগ্নী নাছরিনের সাথে প্রেমের ছলনা করে অজানা ঠিকানায় পাড়ি জামায়। পরে গোলাম রসুল তার বাড়িতে নিয়ে তোলে। নাছরিন আর তার পিতার বাড়ি যায়নি। সম্প্রতি গোলাম নানা অজুহাতে নাছরিনকে মারধর করতে থাকে। নাছরিন পিতার বাড়ি ফেরার কথা জানায়। নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এরই এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাছরিনকে নেয়া হয় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। নাছরিনকে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে গোলাম রসুল দূরে দূরে ঘুরতে থাকে। ওষুধ নেয়ার কথা বলে সে আড়াল হয়। গোলাম রাসুলই তার মামাশ্বশুরকে খবর দিয়ে হাসপাতালে নেয়। বিনা চিকিৎসায় মরা যাচ্ছে দেখে কয়েকজন যুবক বাকিতে ওষুধ কিনে রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালায়। তাতে কাজ হয়নি। রাত সোয়া ১১টার দিকে নাছরিন মারা যায়। গোলাম রসুল দূরে অবস্থান নেয়। তখন কয়েকজন তাকে খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রভাতি স্কুলের অদূরবর্তী একটি দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়। তুলে দেয়া হয় টহল পুলিশের হাতে। পুলিশ ঘটনার প্রকৃত নেপথ্য উন্মোচনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নাছরিনের মৃতদেহ হাসপাতালের লাশ রাখা ঘরে রাখা ছিলো।