জীবননগরো সীমান্ত ও আন্দুলবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ : ভোট পুনঃগণনার দাবি

 

জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগর উপজেলায় পঞ্চম ধাপের দুটি ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপিসহ ভোট পুনঃগণনার দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট ও ইউপি সদস্যদের একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মীর্জা লিটন ও মেম্বার প্রার্থী নজরুল ইসলামের অভিযোগ তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। পাল্টে দেয়া হয়েছে ভোটের ফলাফল। জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাধ্যমে গতকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর এ অভিযোগ করা হয়। গত শনিবার আন্দুলবাড়িয়া ও সীমান্ত ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন পরবর্তী  কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপি, অনিয়ম ও পুনঃগণনার দাবি ওঠে। নির্বাচনের রাতেই প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন অফিসার বরাবর একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কর্চ্চাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর এবং ভোট গণনাতে অনিয়ম হয়েছে এমন দাবি উঠেছে। একই সাথে আন্দুলবাড়িয়া হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর না করে কর্মরত নির্বাচন কর্মকর্তারা আংশিক ফলাফল ঘোষণা করে কেন্দ্র ত্যাগ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও জীবননগর সীমান্ত ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী নজরুল ইসরাম ভোট পুনঃগণনার দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আন্দুলবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের সাজেদার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি কর্চ্চাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভোট গণনার অনেক আগেই ফলাফল ফরমে তাকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আব্দুল মজিদ লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি নৌকা প্রতীকের পক্ষে ওই কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ভোট গণনার আগেই ফলাফল কাগজে কোনো স্বাক্ষর না নিয়ে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার যেনতেনভাবে ভোটগণনা করে কেন্দ্র ত্যাগ করে চলে যায়। একই অভিযোগে নজরুল ইসলাম জানান, তিনি সীমান্ত ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট গণনা কক্ষে তার পোলিং এজেন্টকে বাদ রেখে গণনা কার্যক্রম শেষ করেন দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার। ফলে তিনি ভোট পুনঃগণনার লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।