জীবননগরে ২শটি জিআর প্রকল্পের চাল আত্মসাতের অভিযোগ : ৩ সদস্যের তদন্ত টিমের কার্যক্রম শুরু

 

এমআর বাবু/নারায়ণ ভৌমিক: জীবননগর উপজেলায় ২শ স্থানে ধর্মসভা ও নামযজ্ঞের নামে জিআর কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের ৬শ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি গতকাল সোমবার থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। তদন্তের প্রথম দিনে তদন্ত টিম উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করে। আগামীকাল বুধবারও তদন্ত দল পরিদর্শন করবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে টিমপ্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এডিএম দেব প্রসাদ পাল জানিয়েছেন।

জানা গেছে, জীবননগর উপজেলায় ২শ স্থানে ধর্মসভা ও নামযজ্ঞের নামে প্রকল্প দেখিয়ে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা জিআর কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের ৬শ মেট্রিক টন চালের পুরোটাই আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম ও হিসাব সহকারী সাইফুর রহমান মালিকের সহযোগিতায় এসব চাল গেছে কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের পেটে। এ সংবাদ প্রকাশ হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় হুলস্থূল কাণ্ড শুরু হয়। দাবি ওঠে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা কার্যালয়সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের প্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের শেষ মুহূর্তে মানবিক সহায়তা হিসেবে জীবননগর উপজেলায় ৬শ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়। সরকারি দর প্রতি মেট্রিক টন ৩৬ হাজার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা হিসেবে এ চালের মূল্য ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৪ টাকা। গত ২৬ জুন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক (ত্রাণ) ইফতেখারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বরাদ্দপত্রটি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অতীতে জিআর (সাধারণ ত্রাণ) কর্মসূচির চাল সাধারণত এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং, অনাথ আশ্রম, শিশুসদন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আহার্য মানবিক সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো; কিন্তু এবারই প্রথম ২শ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অনুকূলে প্রতিটিতে তিন মেট্রিক টন হিসেবে ৬শ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।