জীবননগরে স্থলবন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও গণজমায়েত

জীবননগর ব্যুরো: উদ্বোধনের ৪ বছরের চালু হয়নি দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম। উদ্বোধনকৃত এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠিতকভাবে চালুর দাবিতে জীবননগর স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে গতকাল সোমবার মানববন্ধন ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকালে বাসস্ট্যান্ড চত্বরে জীবননগর স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটির ও ব্যবসায়ী সমিতিসহ প্রায় ২৫টি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। গণজমায়েত থেকে অবিলম্বে উদ্বোধনকৃত এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর দাবি জানান বক্তরা।
দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর চালুর দাবিতে ১৯৯৩ সাল থেকে এ উপজেলাবাসী আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করে আসছে। পূর্বে এটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিলো। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ এ শুল্ক স্টেশনটি স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করে চালুর দাবিতে এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট এটি স্থলন্দরের ঘোষণা দিয়ে সরকার উদ্বোধন করে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এ বন্দরের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ স্থলবন্দরটি উদ্বোধনের দীর্ঘ ৪ বছর পার হলেও এখনও কার্যক্রম চালু করা হয়নি।
এ অবস্থায় স্থলবন্দর বাস্তবায়ন কমিটি অবিলম্বে এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর দাবিতে সোমবার মানববন্ধন ও গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তূজা, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, উথলী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, দৌলৎগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ঈশা, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাবর হোসেন খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত আমাদের এটি শুল্ক স্টেশন হিসেবে চালু ছিলো। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ ছিলো। এখন আমাদের এটি আবার ফিরিয়ে দিতে হবে। বক্তারা তাদের যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে এ স্থলবন্দর চালুর পেছনে অনেক যুক্তি রয়েছে। ভারতের জাতীয় সড়ক থেকে যেখানে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের দূরত্ব ৪শ কিলোমিটার, বেনাপোল স্থলবন্দরের দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার সেখানে দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দরের দূরত্ব ৪৪ কিলোমিটার। এটির কার্যক্রম চালু করতে অল্প সময়ের মধ্যে এবং কম খরচে মালামাল আমদানি-রফতানি করা যাবে। ফলে অনেক কম মূল্যে ভোক্তরা তাদের মালামাল কিনতে পারবেন। এছাড়াও এখানে স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালু করতে সকল অবকাঠামো ও জমি অধিগ্রহণ করা রয়েছে। কেবলমাত্র উভয় দেশের সরকারের সদিচ্ছাতে এটির কার্যক্রম দ্রুত চালু করা সম্ভব। বক্তারা দেশের রাজস্বের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে উদ্বোধনকৃত এ স্থলবন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন।