জীবননগরে মাদকব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে বিজিবি ও পুলিশের ওপর দফায় দফায় চড়াও ছাত্রলীগ-যুবলীগ!

 

জীবননগর ব্যুরো: বিজিবির হাতে ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেলসহ আটক মাদকব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নিতে জীবননগরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতৃবন্দ দফায় দফায় বিজিবি ও পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ আটক মাদকব্যবসায়ী মামুনকে (২৮) আদালতে সোপর্দ করার জন্য পিকআপে নেয়াকালে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করা হয় এবং অশ্রাব্য ভাষায় পুলিশকে গালিগালাজ করা হয়। পুলিশ এ সময় যুবলীগ নেতা জুয়েলসহ অন্যান্য ক্যাডারদের ধাক্কাতে ধাক্কাতে থানা থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

বিজিবি ও থানা সূত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের খালিদুজ্জামানের ছেলে চি‎‎হ্নিত মাদকব্যবসায়ী মামুন-উর-রশিদ ওরফে মামুনকে গত শুক্রবার বিকেলে মাদকস্পট আকন্দবাড়িয়া থেকে দু বোতল ফেনসিডিলসহ উথলী বিশেষ ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মিন্টু সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করেন। সে জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উথলী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিনের ভাতিজা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয়। ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার মিন্টু সরকার জানান, মামলাসহ মামুনকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় সোপর্দ করার সময় জুয়েলের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তাকে ছিনিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে বিজিবি এ সময় গুলি চালাতে উদ্যত হলে তারা সেখান থেকে সটকে পড়ে। রাতে থানায় সোপর্দ করা হলে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ থানায়ও চড়াও হয় ও তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ সময় তারা তাকে মোবাইলকোর্টে দেয়ারও দাবি করে। পুলিশ তা করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ মাদকব্যবসায়ী মামুনকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ফিরে যায়। পুলিশ মাদকব্যবসায়ী মামুনকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন বলে জানা গেছে।