জীবননগরে আ.লীগ ও জামায়াতের একক এবং বিএনপির দু প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচরণা তুঙ্গে

 

এম আর বাবু: জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এ উপজেলাবাসীর মাঝে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। পোস্টার ও প্রতীকে ছেয়ে গেছে উপজেলা শহরসহ গ্রাম-পাড়া ও মহল্লা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাতঅবধি চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ। জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের একক এবং বিএনপি থেকে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২৩ মার্চ জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্য ১ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটর ৫৯ হাজার ১৯৪ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৫৯ হাজার ৩৬৪ জন। গত ৮ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়েছেন। নির্বাচনে এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভোটাররা যোগ্য ও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল (আনারস), জামায়াত সমর্থিত অধ্যাপক খলিলুর রহমান (মোটরসাইকেল), বিএনপি সমর্থিত হাজি সাইদুর রহমান ধুন্দু (দোয়াত-কলম) ও বিএনপির অপরাংশ সমর্থিত ফারহানা আক্তার রিনি (কাপ-পিরিচ)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত হাফিজুর রহমান (উড়োজাহাজ), বিএনপি সমর্থিত আরিফুজ্জামান আরিফ (টিউবওয়েল), জামায়াত সমর্থিত মাও. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন (চশমা) ও সতন্ত্রপ্রার্থী শামসুল আলম (তালা-চাবি)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত আয়েশা সুলতানা লাকি (কলস), বিএনপি সমর্থিত পেয়ারা বেগম (হাঁস), জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত সামসুন্নাহার মুক্তা (ফুটবল) ও  বিএনপি কর্মী মাহফুজা পারভীন বিউটি (প্রজাপতি)।