জীবননগরের খয়েরহুদায় সড়কে গণছিনতাই : একতারপুরে ৪ বাড়িতে ডাকাতি

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মনোহপুর-খয়েরহুদা সড়কের আলোচিত আমতলা মাঠে গণছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে ১০ থেকে ১২ জনের দেশীয় অস্ত্রধারী একদল ছিনতাইকারী এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটনায়। এ সময় খয়েরহুদায় ফেরার পথে প্রায় ২০ জন গণছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মোবাইলফোন ও টাকা খোয়ায়। ছিনতাইকারীরা ফিলে যাওয়ার সময় একতারপুরে ৪ বাড়িতে ডাকাতি করে টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় এক যুবতিকে তুলে নিয়ে যায়। রাতেই পুলিশ ওই যুবতিকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে। এলাকাবাসী আলোচিত ওই এলাকায় পুলিশি টহল ব্যবস্থার দাবি করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সোমবার ছিলো জেলার ডুগডুগি পশুহাট। এ হাটে গরু বেচা-কেনা করে থাকেন খয়েরহুদা গ্রামের বেশ কয়েকজন। তাদের নিকট থেকেই টাকা-পয়সা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের দেশীয় অস্ত্রধারী ছিনতাইকারী মনোহরপুর-খয়েরহুদা সড়কের আমতলা মাঠে ব্যারিকেড দিয়ে বসে থাকেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে ছিনতাইকারীদের ব্যারিকেডের মধ্যে প্রথমে গিয়ে পড়ে খয়েরহুদা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে লিপন। তিনি এ সময় পাউয়ারটলি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ছিনতাইকারীরা তার নিকট থেকে মোবাইলফোন ও টাকা লুটে নিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর একে একে ছিনতাইকারীচক্রের ব্যারিকেডের মধ্যে পড়ে টাকা ও মোবাইলফোন হারায় খয়েরহুদা গ্রামের কুড়োনের ছেলে জমির হোসেন, মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে রাশেদ ওরফে খোকা, মল্লিক মিয়ার ছেলে সেন্টু, নূর ইসলাম সরদারের ছেলে আলম সরদার, আতিয়ার রহমানের ছেলে সজিব, নাজিম উদ্দিন ও জীবননগর বাজারের ব্যবসায়ী সুইটি ভ্যারাইটি স্টোরের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়াদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে এদের নাম পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ছিনতাইকারীচক্র প্রায় ২০ জনের নিকট থেকে মোবাইলফোন ও টাকা লুট করে। তবে তাদের টার্গেটে থাকা গরু ব্যবসায়ীরা সন্ধ্যার আগেই বাড়িতে ফেরায় তারা এ যাত্রা রেহাই পেয়েছে। এলাকাবাসী আলোচিত এ সড়কে ছিনতাইরোধে পুলিশি টহল ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে।
ছিনতাইয়ে ঘটনার পর একতারপুর মাঠপাড়ায় ৪ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগত টাকা গয়নাগাটিসহ এক যুবতিকে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশ ওই যুবতিকে উদ্ধারে নামে। রাত দেড়টার দিকে ওই যুবতিকে মাঠ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।