জীবননগরের উথলী মনোহরপুর ও কেডিকে ইউপি’র নির্বাচন নিয়ে শুরু হয়েছে মেরুকরণ

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার উথলী, মনোহরপুর এবং কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন জমে উঠেছে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর এ ৩টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ৩টি ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে। দীর্ঘদিন প্রচারণার পর এখন শুরু হয়েছে ভোটের মেরুকরণ। নির্দলীয় সাধারণ ভোটররা এখন প্রার্থীদের স্বভাব-চরিত্র, অর্থনৈতিক অবস্থা, পারিবারিক অবস্থানও সর্বপরি যোগ্যতার মাপকাঠিতে মাপতে শুরু করেছে। নির্বাচনের দিনে ভোট কেন্দ্রে সাধারণ এ ভোটাররা যে দিকে ঝুঁকে পড়বে জয়ের মালা তারই গলায় পড়বে এমনটিই আশা করছে সকলে।
নির্বাচনে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে নির্বাচনী কৌশল নিয়ে মাঠে নেমেছে বড় দু’দলের নেতাকর্মীরা। ভোটারদের দৃষ্টিতে ৩টি ইউনিয়নেই নৌকা, ধানের শীষ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ত্রি-মুখি লড়াই হবে এমনটিই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তিনটি ইউনিয়নেই দলীয় প্রার্থীদের থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। তবে দলীয় প্রার্থীদের অবস্থানও বেশ শক্তপোক্ত বলে সাধারণ ভোটাররা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
উপজেলার পুনর্গঠিত উথলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল হান্নান নৌকা, বিএনপি মনোনীত আবুল কালাম আজাদ ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবজালুর রহমান ধীরু আনারস, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আসাদুর রহমান ভেদু চশমা ও জামায়াত সমর্থিত মোহাম্মদ মহিউদ্দীন মোটরসাইকেল প্রতীক। এছাড়াও এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৪০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নবগঠিত কেডিকে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত খায়রুল বাশার শিপলু নৌকা, বিএনপি মনোনীত তানভীর হোসেন রাজিব ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবুল বাসার আনারস, আলমগীর হোসেন চশমা এবং জামায়াত সমর্থিত মাও. আব্দুস সাত্তার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১২জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৬জন প্রার্থী এ ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নবগঠিত মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত সোহরাব হোসেন খান নৌকা, বিএনপির কামরুজ্জামান ধানের শীষ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী রাজা মিয়া আনারস এবং জামায়াত সমর্থিত আসাবুল হক মল্লিক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৯জন ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৩৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াও এখন পর্যন্ত নিরেপেক্ষ নির্বাচনের পথে রয়েছে নির্বাচন অফিস। দিন যত এগিয়ে আসছে প্রার্থী ও কর্মীদের ঘুম ও নাওয়া-খাওয়া একপ্রকার বন্ধ হওয়ার উপক্রম। রাত-দিন সমান তালে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাত হলেই প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করার জন্য ছুটছেন এ তিনটি ইউনিয়নে। নির্বাচনের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। বাকি এ সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা তাদের পক্ষে ভোট টানার জন্য নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করে চলেছে।