জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে দিনভর সতর্ক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখের আয়োজন
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সর্তক অবস্থানে ছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবির একাধিক দলের টহল ছিলো জোরদার। জীবননগর শহরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও রাজপথে দেখা মেলেনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে অবস্থান নেয়। বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো বিক্ষোভ বা পিকেটিং হয়নি। দর্শনায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে দিনভর শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিলো নেতাকর্মীরা। শহরে আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের পৃথক মিছিল করতে দেখা গেছে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ হুইপ গ্রুপের নজরুল মল্লিকের নেতৃত্বে এ মিছিল বের করা হয়।
এদিকে রায় ঘোষণার পর চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন আনন্দ মিছিল ও মিষ্টিমুখের আয়োজন করে।

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ শহরে অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল সমাবশ  করেছে। জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে শেষ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন। প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর বেগম। আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রিমন হোসেন, সাবেক সহ-সম্পাদক বাপ্পি, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাবেক স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, সাবেক সদস্য খালিদ মাহামুদ, যুবলীগ নেতা মন্টা প্রমুখ। পরিচালনা করেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল। শনিবার সকাল ১০টায় জেলা শহরে এক বিশাল আনন্দ মিছিল করবে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ। মিছিলে যথাসময় সকাল সাড়ে ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ টেন্টে ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গায় মিছিল ও মিষ্টি মুখ করিয়ে আনন্দ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ হাসান চত্বরে এসে মিষ্টি মুখের আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হুছাইন জ্যাকি, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি  জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, দফতর সম্পাদক সেক সামী তাপু, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইমদাদুল হক সজল,  জেলা ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল, ফিরোজ আলম, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল জোয়ার্দ্দার, আসিফ খান প্লাবন, মিশন, সবুজ, রাজন, হৃদয়, রবিন, হিরণ, তুষার, রিফাত, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা ছাত্রলীগ নেতা মো. মানিক, রিয়াজ মোল্লা, মারুফ, কামরান, তাজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ, কানন, রাকিবুল হাসান নিপ্পন, আকিব জাভেদ, নিপ্পন ২, নাহিদ, ফারহান রাব্বি, আরাফাত প্লাবন, ইসতিয়াক সিথুন রোকন, আরফিন সজীব, এলাহী তৌফিক, আনিস, রাকিব, শাওন, সজীব-২, সানজীদ, নিশান, স্বাধীন, জাহিদ, মিরাজুল, রকিবুল, শোভনসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দুপুরে আদালত কর্তৃক বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা-২ আসেনর সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বে দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, শফিকুল আলম, আব্দুর রফিক কাবি, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ. হান্নান ছোট, সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফ আলম বাবু, সাধারণ সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় বিকেলে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, সহসভাপতি রবিউল হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহিদুল ইসলাম, যুগ্মসম্পাদক ইমতিয়াজ হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জেলা পরিষদ সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ, আ.লীগ নেতা আয়ুব আলী, মোজাফ্ফর মেম্বার, জনাব আলী, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভুট্টু, সহ-সভাপতি মুনছুর আলী মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী, জুড়ানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম উদ্দীন খুশি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, নাটুদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, নতিপোতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিল মাস্টার, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু, যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলী ইছা মেম্বার, জাকির হোসেন, নিশান তরফদার, হাসান মেম্বার, হাতেম আলী, রকিবুল হাসান, একরামুল হোসেন, তারিকুল, ছাত্রলীগ নেতা লিমন খান, ইকরামুল হক, আকরামুল, সামাদ, স্বপন প্রমূখ। এ ছাড়া যুবলীগ নেতা শাহীন উদ্দীনের নেতৃত্বে আলাদাভাবে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন ও সোহেল রানা শাহিনের নেতৃত্বে বৃহষ্পতিবার দুপুরে বের হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ওসমান গণি বিস্কুট, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, রাজু আহম্মেদ, বিল্লাল মাস্টার, আসাবুল ইসলাম ওল্টু, হাসিবুল ইসলাম, তকবুল মেম্বার, জয়নাল মেম্বার, সাঈদ মেম্বার, বায়তুল ,মঈন আহম্মেদ, রবিউল ইসলাম, বাপ্পী, খলিদুর রহমান, আশাদুল হক মহাবুব বিডিআর, ইলা, রুহুল বিডিআর, লিপু, নান্না, লিটন, কামরুল ইসলাম, সনি, কুতুব উদ্দিন, শাহাবদ্দীন, সজীব,হাফিজ, নাসির উদ্দিন, সুমন মেম্বার, আনিস, সাইফুল, রশিদ, মিলন, মান্নান ভাই, নেকবার আলী, ছাত্রলীগ নেতা শাকিল, সজীব, তুমল, সাজু প্রমুখ।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তির দাবিতে জীবননগরে আওয়ামী লীগও অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ হতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। জীবননগর পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম ঈশা, সাধারণ সম্পাদক কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার শিপলু, পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু, সাধারণ সম্পাদক মজিবার রহমান প্রমুখ মিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করেন। একই সময়ে  আওয়ামী লীগের অপর গ্রুপের উদ্যোগে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল মল্লিকের নেতৃত্বে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা জাকির বিশ্বাস, যুবলীগ নেতা শামীম ফেরদৌস, কাজি সামসুর রহমান চঞ্চল, মফিজুল রহমান, কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ, ছাত্রলীগ নেতা চঞ্চল কুমার প্রমূখ মিছিলে নেতৃত্ব প্রদান করেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদ- ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি ৫জনের ১০ বছর কারাদ- ও অর্থদন্ড হওয়ায় মেহেরপুর শহরে আনন্দ র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকশনা উপ-কমিটির সদস্য এমএএস ইমনের নেতৃত্বে ওই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ আহম্মেদ, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক স্বপন, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুল হাসান ফিরোজ, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক এনামুল হক, আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আতিয়ার রহমান হীরা, শাহারিয়ার আলম ববি, শ্রমিক লীগ নেতা শিমুল বিশ্বাস, বিপুল হোসেন, সেলিম রেজাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই গাংনীর রাজপথ পুলিশ ও বিজিবির দখলে চলে যায়। এর পরেই রাজপথে নামে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার আগে পরে কয়েক দফা মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তবে মাঠে নামেননি বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে, দুপুরের পর উপজেলা আওয়ামী লীগের আরও একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আনোয়ার পাশা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক আবুল বাসার ও কৃষক লীগ নেতা ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন।

সন্ধ্যায় গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। থানা সড়ক থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে পৌর আ.লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতাকর্মীবৃন্দ।

অপরদিকে, বিকেলে গাংনী পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। নাশকতা ও নৈরাজ্য বিরোধী স্লোগান দেয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র নবীর উদ্দীন, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল আলম, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল আক্তার, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আছাল উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরবৃন্দ।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগ। বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলালউদ্দীনের নেতৃত্বে কেদারগঞ্জ বাজার চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক শেখ সাকিব, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমার মতিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফ হোসেন, বিপ্লব, রিপন, কাশেদ আলী প্রমুখ। শেষে যাত্রীছাউনী চত্ত্বরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেনসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। রায়কে ঘিরে যেকোনো প্রকার নাশকতা রুখে দেয়ার ঘোষণা দেন উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে, বেলা সাড়ে ৫টায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদুর নেতৃত্বে কেদারগঞ্জ যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা ও মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ, জেলা পরিষদের সদস্য শাহিন উদ্দীন, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান মুংলা, যুগ্ম-আহ্বায়ক মি. বাবুল মল্লিক, মোনাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম-আহ্বায়ক শান্তি, জিয়া, দেলোয়ার ও যুবলীগ নেতা ইতি প্রমুখ। বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে বিএপি-জামায়াত কোনোপ্রকার নৈরাজ্য করতে না পারে সে লক্ষ্যে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। উভয় নেতৃবৃন্দ মিষ্টি বিতরণ করেন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে সকাল থেকেই রাজপথে অবস্থান করেছে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ। গণজমায়েতসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল চলেছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছে। সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাংসদ আব্দুল হাই, সাংসদ তাহজিব আলম সিদ্দীকির নেতৃত্বে সমাবেশ ও মিছিল বের করা হয়। এছাড়া কৃষকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পৃথক পৃথক মিছিল বের করে।

ডাকবাংলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের সাধুহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চেয়ারম্যান কাজী নাজীর উদ্দীন ও সভাপতি রেজাউল মণ্ডলের নেতৃত্বে বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় ৫ বছরের সাজা হওয়ায় আনান্দ মিছিল বের করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহ্াজীব আলম সমী, মোজাম্মল হোসেন, মুন্সী শাহীন রেজা সাঈদ, এবি এম আলী হোসেন, আনিছুর রহমান বাবলু, আইয়ুব আলী, দুলাল, রুহুল আমীন প্রমুখ।