জিপুসহ আদালতে সাতজনের জামিন লাভ

চুয়াডাঙ্গায় মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাজুর মামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগকর্মী জনিকে কোপানো ও মারামারি ভাঙচুর ঘটনায় দায়ের করা পাল্টাপাল্টি মামলার একটিতে জিপুসহ ৭ নেতাকর্মী আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। গতকাল তারা চুয়াডাঙ্গা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের জনিকে কোপানোর জের ধরে মারামারি ও ভাঙচুরের ঘটনা পাল্টাপাল্টি মামলায় গড়ায়। দু পক্ষের দুজন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করেন। একটি মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জীপুসহ ২৫ জনকে আসামি করা হছে। অপর মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা খুস্তার জামিলসহ আসামি করা হয় ২৫ জনকে।

গত ৩০ ও ৩১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের দু পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়ার গোলাম সরোয়ারের ছেলে জনি ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হন। পরবর্তীতে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা ইমারজেন্সি রোডের আব্দুল লতিফের ছেলে রাজু আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামি করা হয় ২৫ জনকে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার লুৎফর রহমানের ছেলে। এ মামলায় অন্য আসামিরা ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা সিঅ্যান্ডবিপাড়ার বাবর আলীর ছেলে কালু, আরামপাড়ার আদম আলীর ছেলে বিপ্লব, জাহাঙ্গীরের ছেলে সজল একই পাড়ার মালেকের ছেলে হাসান, গুলশানপাড়ার মানজেতের ছেলে জানিফ, মুক্তিপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে জ্যাকি, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার ইসমাইল, মহিলা কলেজপাড়ার ইরান ও জিতুসহ অঙ্গাতনামা আরো ১০/১৫ জন।

গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ মামুনের আদালতে হাজির হয়ে জিপু, সজল, কালু, হাসান, জানিফ, জ্যাকি ও ইসমাইল জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।