জার্মানিতে শপিংমলে গুলিতে বহু হতাহতের আশঙ্কা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: জার্মানির মিউনিখের একটি শপিংমলে গোলাগুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একাধিক বন্দুকধারী সেখানে হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার আগে মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে এ হামলা হয় বলে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়। জার্মান টেলিভিশন এনটিভি এ ঘটনায় প্রথমে ১০ জন নিহতের খবর দেয়। পরে বাভারিয়া প্রদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিনজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করার কথা জানায় তারা। মিউনিখ পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, হামলায় অনেক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন।

এদিকে জার্মানির একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে একটি বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, গুলিতে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। সুইডয়েচে সাইটংয়ের বরাত দিয়ে তারা বলেছে, হামলাকারীদের গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন।

একাধিক বন্দুকধারী হামলায় অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। বিপণিবিতানের ম্যাকডোনাল্ডস-এ ৬টার দিকে প্রথম গুলিবর্ষণ হয় বলে জানা গেছে। এখনও শপিং সেন্টারে লোকজন রয়েছে। আমরা তাদের বের করে আনার চেষ্টা করছি, বলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। এনটিভির খবরে বলা হয়, জার্মান স্পেশাল ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করেছে। সেখানে গোলাগুলি চলছে জানিয়ে ওই বিপণিবিতানের এক কর্মী টেলিফোনে বলেন, ওই এলাকায় তিনিসহ তার অনেক সহকর্মী এখনও লুকিয়ে আছেন। অনেক গুলি হয়েছে। কতোগুলো গুলি হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না, তবে এ সংখ্যা বহু, নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওই বিপণিবিতান থেকে বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, বাইরে থেকে সবাই দৌঁড়ে স্টোরের ভেতরে আসে এবং আমি শুধু একজনকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেছি, যিনি এতো মারাত্মক আহত যে, তিনি বেঁচে নেই বলে আমার বিশ্বাস। আমাদের কাছে আর কোনো তথ্য নেই। আমরা জিনিসপত্র সংরক্ষণের কক্ষগুলোর পেছনে আছি। এখনও কোনো পুলিশ আমাদের দিকে আসেনি। এ ঘটনার পর মিউনিখে ট্রেন, ট্রাম ও বাসের একাধিক লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে পরিবহন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হামলার পর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জার্মানিতে অবস্থানরত নাগরিকদের মিউনিখের ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

গত সোমবার জার্মানির এই প্রদেশের ভুর্সবুর্গে ট্রেনের ভেতরে ছুরি ও কুড়ুল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার যাত্রীকে আহত করে শরণার্থী এক কিশোর। পরে পুলিশের গুলিতে ওই আফগান কিশোর নিহত হন।