জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে নিজ দলেই বিভক্তি!

 

স্টাফ রিপোর্টার: গত সপ্তাহে প্রকাশিত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রকাশ হয়। এরমধ্যে এইনীতিমালা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে৷ সাংবাদিক নেতারা রাজনৈতিকভাবেবিভক্ত হলেও সরকার ঘোষিত সম্প্রচার নীতিমালার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। খোদশাসকদলের মধ্যেও এ নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগেরউপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সোমবার একঅনুষ্ঠানে বলেছেন, সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আমার ভয় হয়। এটা খুব ভালোকাজ হলেও সংঘাতপূর্ণ রাজনীতিতে এটা কতোটুকু ফলপ্রসূ হবে সেটা নিয়ে আরও ভাবতেহবে। এটা নিয়ে দলমত নির্বিশেষ সবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেহবে। সরকারকে বলবো, লেখা হয়ে গেছেএটাই তো শেষ কথা নয়।সংযোজন-বিয়োজনের সুযোগ আছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা দরকার। কমিশন হলেএটা অধিকতর গণতান্ত্রিক হবে।’

একই অনুষ্ঠানে তিনি সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মন্ত্রী হলে সংযমী হতে হবে। চট করে উত্তেজিতহলে চলবে না। আগের দিন গালমন্দ, করে পরের দিন ক্ষমা চাইলে হবে না। গণমাধ্যমরাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই এটাকে বাদ দিয়ে গণতন্ত্র হয় না।

এদিকেতথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিঙেবলেছেন, সম্প্রচার নীতিমালা দিক-নির্দেশনামূলক। এর আলোকে প্রণিতব্য আইনদ্বারা গঠিত কমিশন সম্প্রচার মাধ্যম সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করবে৷ যতোক্ষণপর্যন্ত আইন না হচ্ছে ততোক্ষণ পর্যন্ত প্রচলিত আইনই প্রযোজ্য হবে।তথ্যমন্ত্রীবলেন, ‘সম্প্রচার নীতিমালা কোনো ‍আইন নয়। এতে শাস্তির কোনো বিধাননেই। তাই কণ্ঠরোধের বিষয়টি সম্পূর্ণ অমূলক ও কল্পণাপ্রসূত।তিনি বলেন, অভিযোগ করা হয়েছে, এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে গণমাধ্যমের ওপর তথ্যমন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ বাড়বে। এ অভিযোগ অমূলক।