জাতিকে বিভক্ত করছে বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জাতিকে বিভক্ত করছে। জাতীয় স্বার্থে বিএনপির কোনো সদিচ্ছা বা আন্তরিকতার প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের চীন সফরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে এক সভা করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরপর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে চীনের উদ্দেশে রওনা দেবে। ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চীনে অবস্থান করবে। দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়া একবাক্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, তার সরকারের যে সাহসী এবং মানবিক ভূমিকা—এর কিন্তু সবাই এক বাক্যে, জাতিসংঘসহ সবাই প্রশংসা করছে। এখনো করছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় শেখ হাসিনার অসম সাহসী ভূমিকার প্রশংসা তারা করেছেন। শুধু আমাদের দেশের একটি দল প্রকাশ্যে সরকার ব্যর্থ, রোহিঙ্গাদের ইনফ্লাক্স (ঢল) বন্ধ করতে ব্যর্থ—এসব নানা অভিযোগ তারা প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে দিয়ে যাচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে বসে বেগম জিয়া এ বিষয়ে (রোহিঙ্গা) কথা বলছেন। বিভিন্ন দেশে তিনি কয়েক দফা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। অথচ আমরা অবাক হই। বারবার তিনি তার দেশে ফেরার তারিখ পরিবর্তন করছেন। বারবার শুধু বদলাচ্ছেন। আগে জানতাম যে তিনি ঈদের পরপরই ১৫ তারিখ আসবেন। ১৫ তারিখ চলে গেলো, এখন শোনা যাচ্ছে এই মাসে তিনি আসবেন না। তিনি বলেন, আপনি (খালেদা জিয়া) যদি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানকে জাতীয় স্বার্থ মনে করেন, এখন দলীয় স্বার্থে আপনি শেখ হাসিনা সরকারকে প্রতিপক্ষ ভেবে বিদ্বেষপ্রসূত অবাস্তব কমেন্ট (মন্তব্য) করবেন। বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফে এখন মানুষের ঢল। সেখানে মানুষের মধ্যে হাহাকার চলছে। এই মুহূর্তে বিএনপি ২০ ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গেলে কী অবস্থা হবে? আওয়ামী লীগ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায়। বিএনপি পুলিশ থেকে শুরু করে কারও অনুমোদন না নেওয়ায় তারা ত্রাণ বিতরণ করতে পারেনি।

আওয়ামী লীগ গত আমলের চেয়ে এ আমলে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উল্লেখ করে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বছর ভয়াবহ বন্যায় দেশের অনেক বড় অংশ উৎপাদনহীন। বন্যায় দুর্গতদের সহায়তা ও পুনর্বাসন করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের হাওরেও কোনো উৎপাদন নেই। এসব সমস্যার সঙ্গে অন্য সব সময়ের তুলনায় এবার রোহিঙ্গাদের যে পরিমাণ অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তা সত্যিই মোকাবিলা করা কঠিন। তবু এই পরিস্থিতি সর্বাত্মকভাবে মোকাবিলা করা হবে।