জাকির নায়েকের ১৮ কোটি রুপির সম্পদ জব্দ

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতের আলোচিত ইসলাম প্রচারক ড. জাকির নায়েক প্রতিষ্ঠিত এনজিও ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (আইআরএফ) প্রায় ১৮ কোটি রুপির সম্পদ জব্দ করেছে দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অর্থ আত্মসাতের মামলায় জড়িয়ে গতকাল সোমবার মুম্বাইয়ের দক্ষিণাঞ্চলীয় দংরি এলাকাভিত্তিক এ ফাউন্ডেশনের সম্পদ জব্দ করেছে ইডি। এদিকে জাকির নায়েক কীভাবে নিজের এনজিও তহবিল থেকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থ ঢেলেছেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে ঘনিষ্ঠরা। এ ব্যাপারে জাকিরকে জেরা করতে পারে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। খবর এনডিটিভির। সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের হওয়ার পর তাকে ৩০ মার্চ নয়াদিল্লিতে এনআইএ দফতরে হাজিরার জন্য সমন পাঠিয়েছে এনআইএ। সোমবার জাকিরের মুম্বাইয়ের বাসভবনে সমন নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাকে নোটিশ পাঠানো হল। আগের নোটিশটি পাঠানো হয়েছিল ১৪ মার্চ। সোমবার আইআরএফের মুম্বাই কার্যালয়ের ১৮ কোটি ৩৭ লাখ রুপির সম্পদ জব্দ করেছে ইডি। জাকির ও তার এনজিওর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও আনা হয়েছে। জাকিরকে এর আগে একাধিক সমন পাঠিয়েছে ইডি। তিনি নিজের এনজিওকে হাওয়ালা লেনদেনে কাজে লাগিয়েছেন। নিজের স্ত্রী, বোনের ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিদেশে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন বলেও জানিয়েছে তার ঘনিষ্ঠরা।

ঢাকায় গুলশান হামলায় জড়িত জঙ্গিরা জাকিরের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো বলে প্রকাশ্যে জানানোর পর থেকেই তিনি গা-ঢাকা দিয়েছেন। সম্ভবত সৌদি আরবে রয়েছেন জাকির। জেরার মুখোমুখি হতে এনআইএর সামনে না এলে তার কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। ইউএপিএ’র নানা ধারায় তো বটেই, জাকিরের বিরুদ্ধে সম্প্রীতির পরিপন্থী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে জাকির ও তার সঙ্গীদের নামে এফআইআর দায়ের করে এনআইএ। তাদের অভিযোগ, মুসলিম যুবকদের ক্ষেপিয়ে তুলে সন্ত্রাস ছড়ানোর ছক ছিলো জাকিরের। ইউএপিএ’র আওতায় কেন্দ্র এরই মধ্যে জাকিরের এনজিওকে বেআইনি সংস্থা বলে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট সেই পদক্ষেপ সঠিক বলে রায় দিয়েছেন। আদালতের অভিমত, জাকিরের আইআরএফ, তার প্রেসিডেন্ট ও সদস্যরা ‘বেআইনি কার্যকলাপে’ মদদ দিয়েছেন। যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং মালয়েশিয়া বর্তমানে জাকিরের বক্তব্য নিষিদ্ধ করেছে। অবশ্য তার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাকির।