জবি শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

 

স্টাফ রিপোর্টার: দখল হওয়া হল উদ্ধারসহ ৮ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা, বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার এবং শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে না নিলে বুধবার থেকে সর্বাত্মক ছাত্র ধর্মঘটের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।

অপরদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে হল উদ্ধারের জন্য পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এদিকে রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কার্যালয়ে জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক চলছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশে অংশ নিতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে সেখানে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় ক্যাম্পাসের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো এলে শিক্ষার্থীরা বাসগুলো নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কয়েক সহস্রাধিক শিক্ষার্থী শহীদ মিনারে  পৌঁছায়। শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে পৌঁছলে আশপাশের এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বেলা ১১টার দিকে মহাসমাবেশে এসে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ফকির আলমগীর। এ সময় তিনি বলেন, দখল করা হল উদ্ধারের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও স্থানীয়রা যোগসাজশে হামলা চালিয়েছে। এ সময় তিনি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি  মেনে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মহাসমাবেশে হলের দাবি ছাড়াও সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত মামলা ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এছাড়া সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নাজমুল হাসান কলিমুল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাচ্চু মিয়া, সাবেক আহ্বায়ক হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক সেলিম ফারুখ সজল প্রমুখ। হল পুনরুদ্ধার সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব এসএম সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কাজী মোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম সুজাউল ইসলাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এমএম জসীম প্রমুখ। সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে ১২টায় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সভাপতি এফএম শরিফুল ইসলাম উপস্থিত শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান।

শিক্ষক সমিতির পৃথক কর্মসূচি: বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিক্ষক সমিতি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাস বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক। তাই শিক্ষক সমিতি নিজেদের ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মহাসমাবেশের নেতৃত্বে শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী ওই শিক্ষার্থী থাকায় শিক্ষক সমিতি সে কর্মসূচি বর্জন করেছে। এসময় তিনি ১৯ ও ২০শে মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন, ২৩শে মার্চ ৱ্যালি ও ২৬শে মার্চ এলাকাবাসী এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।