জবাই এড়ানো মোষ মালিকের দেয়া টাকা নিয়ে আলমডাঙ্গার তিয়রবিলায় উত্তেজনা অব্যাহত

 

স্টাফ রিপোর্টার: জবাই এড়িয়ে পালানো মোষ মালিকের দেয়া ১৮ হাজার টাকা নিয়েই আলমডাঙ্গার পল্লি তিয়রবিলায় দু পক্ষের উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পাল্টা পাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গ্রাম। অভিযুক্ত চাঁদাবাজ ফারুক গ্রাম ছেড়েছে। তার ভাই যু্বলীগ নেতা বাবলুও থাকতে পারেননি গ্রামে। তিনি চাঁদাবাজ নয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়ে জানিয়ে বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে অপর পক্ষ বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করেছে। পক্ষান্তরে অপরপক্ষের অভিযোগ, ফারুক ও বাবলু দু ভাই গত ২ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা বাসটার্মিনালের নিকট গ্রামের ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনার পর গ্রামের সাধারণ মানুষ ওদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে।

সেই মোষটি ঈদের দিন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জবাই করা হচ্ছিলো। মনু কশাইর মোষটি জবাই এড়িয়ে পালিয়ে ঈদের পরদিন দর্শনা আকন্দবাড়িয়ার এক কৃষককে মেরে আহত করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকলে আলমডাঙ্গার পল্লি তিয়রবিলার মাঠে ফসল তছনছ করতে থাকে। গ্রামের সাধারণ মানুষ মোষটি আটকাতে গেলে আহত হন বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করতে হয়। অপরদিকে খবর পেয়ে মনু কশাই তার মোষটি ফেরত পেতে তিয়রবিলায় হাজির হন। খবর দেয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে। তিনি হাজির হন। গ্রামের সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে মাঠের ফসল ও আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৮ হাজার টাকা প্রদান করেন মনু কশাই। এ টাকা নিয়েই গ্রামের ক্ষমতাসীন দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ দানা বেধে ওঠে। টাকা ক্ষতিগ্রস্ততের মধ্যে দেয়া হলে ফারুক টাকার ভাগ না পেয়ে অপরপক্ষকে গালিগালাজ শুরু করে। অপরপক্ষও ফারুকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। তারই জের ধরে গত ২ আগস্ট চুয়াডাঙ্গায় পেয়ে তিয়রবিলার সেলিম, আলী হক, বসির, আলম ও মন্টুকে মারধর করা হয়।

অভিযোগ ওঠে, ফারুকের ভাই বাবলু তার সহযোগী সাতগাড়ির সোনা ও মাসুমসহ ককেজন তাদেরকে মারধর করে। বসির ও আলমসহ অন্যরা বলেন, ঘটনাটি জানানোর জন্য হুইপের কাছেই যাচ্ছিলাম। টার্মিনালের নিকট পেয়ে ওরা মারধর করে। এ খবর গ্রামে পৌছুলে উত্তেজনা দানা বাধে। চাঁদাবাজ ফারুকসহ তার ভাইকে গ্রেফতারের দাবিতে গতপরশু মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গ্রামের লালন নামের একজন আলমডাঙ্গা থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ফারুক ও বাবলুর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।

গ্রামের অনেকেই অভিযোগ তুলে বলেছেন, ঈদের আগে গ্রামের বেশ কয়েকজনকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এসব চাঁদাবাজির সাথে ফারুকের যোগসূত্র রয়েছে বলে জোর অভিযোগ উঠেছে।