ছাত্রলীগ নেতাকে জামায়াত-শিবির বানিয়ে ঘুষ চাইলেন মেহেরপুর সদর থানার এএসআই মোস্তফা

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর মণ্ডলপাড়ার আওয়ামী লীগ সমর্থিত কয়েকজনকে জামায়াত সমর্থক আখ্যায়িত করে ঘুষ চাইলেন মেহেরপুর সদর থানার এএসআই মোস্তফা। এ অভিযোগে তার অপসারণ ও শাস্তি দাবিতে এখন সরব হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

অভিযোগে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা যুবলীগ কর্মী ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ কর্মী শুকুর আলী ও শহর ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিমানের বাড়িতে রোববার একজন কনস্টেবলসহ অভিযোগ তদন্তে যান এএসআই মোস্তফা। তারা বাড়িতে না থাকায় সোমবার থানায় দেখা করার জন্য পরিবারের লোকজনকে বলেন তিনি। কিন্তু গতকাল সোমবার সকালে তারা থানায় দেখা করতে না গেলে ক্ষিপ্ত হন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই তিনজনের বাড়িতে একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করেন। তাদের নামে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে দাবি করে মোস্তফার প্রতিনিধি ঘুষ দাবি করেন। সন্ধ্যার মধ্যে টাকা দিয়ে মীমাংসা না করলে বেকায়দায় পড়তে হবে বলে হুমকি দেন ওই প্রতিনিধি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফুয়ান উদ্দীন আহম্মেদ রুপক বলেন, শহর ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বিমান কীভাবে জামায়াত-শিবির হলো তা জিজ্ঞাসা করতেই খেপে গেলেন এএসআই মোস্তফা। তার সাথে বাগবিতণ্ডাও হয়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জামায়াত-শিবির সাজিয়ে এএসআই মোস্তফা যে অর্থ বাণিজ্যের ফাঁদ পেতেছেন সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। তার অপসারণপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।তবে অভিযোগ সব মিথ্যা দাবি করে এএসআই মোস্তফা জানান, ওই তিনজনসহ মণ্ডলপাড়ার ছয়জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগটি তদন্ত করতেই তাদের বাড়িতে যায়। ঘুষ দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি তার নামে টাকা দাবি করে তাহলে তাকে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান মোস্তফা।