ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদকসহ আটক ৭

স্টাফ রিপোর্টার: এক ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।ফ্লেক্সিলোডব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল শুক্রবার ছাত্রলীগের ৫নেতাসহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অপহৃত ফরহাদ ইসলামকে (২৫) জগন্নাথহল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-ক্রীড়া সম্পাদক সৃজন ঘোষ সজীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি তানভীরুল ইসলাম, জগন্নাথ হল কমিটিরসহ-সভাপতি অনুপম চন্দ্র, মুহসীন হল কমিটির ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সম্পাদকমামুন, জসীম উদ্দীন হল কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক বাপ্পী ও ছাত্রলীগের কর্মীহিমেল। এছাড়া আরফান পাটোয়ারি নামে আরেক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

এবিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই মো. মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায়ফরহাদের বাবা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় ৩৬৫ এবং ৩৮৫ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে আরফান পাটোয়ারিকে।আরফান ফরহাদের বাল্যবন্ধু। আরফান ঢাবি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে এ ঘটনাঘটিয়েছেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আটকদের রমনাথানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এসআই মোশারফ।

রমনা থানার এসআই কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেবলেন, এদের শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল থেকে আটক করাহয়েছে।

জানা গেছে, অপহৃত ফরহাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি রাজধানীরফকিরাপুল ফরহাদ টেলিকম সেন্টারের মালিক। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকেফকিরাপুল এলাকা থেকে তাকে অপহরণের পর ঢাবির জগন্নাথ হলে রাখা হয়। এরপর তারপরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ফরহাদের পরিবারের সঙ্গে টাকা লেনদেনের সময় আরফান নামে একজন হাতেনাতে ধরা পড়েন।তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ফরহাদকে জগন্নাথ হলের একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৬ ছাত্রকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্যা রাত সাড়ে ১২টায় বলেন, যদি সন্দেহবশত তাদের আটক করা হয়, তাহলে বলবো এটাছাত্রলীগের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা। আর তদন্তে যদি ছাত্রলীগ নেতারাদোষী প্রমাণিত হন তবে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেওতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট ড. অসীম কুমার সরকারবলেন, আমি বাইরে একটি প্রোগ্রামে ছিলাম। এ বিষয়ে কিছু জানতে পারিনি। হলেরকেউ জড়িত আছে কিনা খোঁজ নিচ্ছি।