চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হচ্ছে আজ

স্টাফ রিপোর্টার: তালিকা হালনাগাদের দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আজ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে গত ১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তালিকার বিষয়ে দাবি-আপত্তি-সংশোধন ও স্থানান্তরের আবেদন করার সুযোগ দেয় ইসি। এতে সারা দেশ থেকে প্রায় ৮৯ হাজার ৮৭৮ জন ভোটার আবেদন করেন। এর মধ্যে ১২ হাজার ৫০৫ জনের আবেদন বাতিল করে বাকিগুলো গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন ইসির বাছাই কমিটি। এসব আবেদনের বিষয় সমন্বয় করে আজ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) ডাটাবেইসের দেয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের ৫১৪টি নির্বাচন অফিসের দাবি-আপত্তি-সংশোধনের তথ্য একীভূত করা হয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী, খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি-সংশোধনী ও স্থানান্তরের আবেদন জমা পড়ে ৮৯ হাজার ৮৭৮টি। এর মধ্যে নতুন ভোটার হতে আবেদন করেছেন ৬০ হাজার ৪৫৮ জন, ভোটার এলাকা স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন ১১ হাজার ২১২ জন, তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন ১৭ হাজার ৬৩৭ জন এবং ৫৭১ জন ভোটারের বিরুদ্ধে আপত্তি জমা পড়েছে। এসব যাচাই-বাছাই করে ১২ হাজার ৫০৫ জনের আবেদন বাতিল করে সর্বশেষ ৭৭ হাজার ২৬৯ জনের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

এনআইডি শাখার কর্মকর্তারা জানান, বাতিল হওয়া আবেদনের মধ্যে রয়েছে নতুন ভোটার হওয়ার দাবিকৃত সাত হাজার ২৩৬টি, ভোটার এলাকা স্থানান্তরের দুই হাজার ৮৫৩টি, তথ্য সংশোধনের দুই হাজার ১৭০টি এবং ২৪৬টি ভোটারের বিরুদ্ধে করা আবেদন আপত্তি বাতিল করা হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি এসব দাবি-আপত্তি-সংশোধন ও স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। ইসি ও এনআইডি তথ্য অনুযায়ী, হালনাগাদে ভোটার হতে না পারায় ২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনে দেশের ৫১৪টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ তালিকাভুক্তির আবেদন করেছেন। তাদের অভিযোগ, তারা তথ্য সংগ্রহকারীদের দেখা পাননি। তাদের বাসায় তথ্য সংগ্রহকারীরা যাননি বলে জানান তাঁরা। নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয় গত ১৫ নভেম্বর। ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় খসড়া ভোটার তালিকা। এ তালিকা সম্পর্কে দাবি-আপত্তি, অভিযোগ ও নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ মে থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিন ধাপে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। হালনাগাদ খসড়া তালিকায় ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ১৭৬ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি, মারা যাওয়ায় চার লাখ ৪৯ হাজার ৯০১ জনের নাম কর্তন এবং চার লাখ আট হাজার ১৮৫ জন স্থানান্তর হয়েছে বলে জানানো হয়।