চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নিয়ে এলাকায ফিরে পেলেন অভ্যর্থনা : দর্শনায় গণসংবর্ধনা

সর্বস্তরের মানুষের ঢল : ভালোবাসায় সিক্ত এমপি আলী আজগার টগর হলেন আবেগ আপ্লুত

 

হারুন রাজু/হানিফ মণ্ড: গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন হাজি আলী আজগার টগর। চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার সার্বিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে জনপ্রিয়তার ফসল হিসেবে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের পর থেকে মহাজোটসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে এমপি টগরকে শুভেচ্ছা অভিনন্দন রয়েছে অব্যাহত। এ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণের জন্য গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে দর্শনা ত্যাগ করেন। ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ শেষে তার নির্বাচনী এলাকায় ফেরেন গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে। এমপি টগরকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ অভ্যর্থনা জানাতে গাড়িবহর নিয়ে নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ যায় দামুড়হুদার উজিরপুর পর্যন্ত। ঢাকা থেকে উজিরপুর এসে পৌঁছানোর সাথে সাথে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। আমজনতা ও গাড়িবহর নিয়ন্ত্রণ রাখতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। তবুও পরিস্থিতি ছিলো স্বাভাবিক। সকলেই প্রিয় নেতার অপেক্ষায় ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশে। পরে গাড়িবহর নিয়ে দামুড়হুদা, কার্পাসডাঙ্গা, কুড়ুলগাছি হয়ে দর্শনায় প্রবেশ করেন এমপি আলী আজগার টগর। এমপি টগরের আগমনে দর্শনা তথা চুয়াডাঙ্গা-২ আসন এলাকার মানুষের মধ্যে নবউদ্যমে সৃষ্টি হয় নবজাগরণ। এমপি টগরকে কাছে পেয়ে অনেকেই আত্মহারা হয়ে পড়েন। বিকেল ৪টার দিকে এমপি টগরসহ দলের নেতাকর্মীরা পৌঁছান দর্শনা অংকুর আদর্শ বিদ্যালয় চত্বরের সংবর্ধনা মঞ্চে। দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা এবং তিতুদহ ও বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগের আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে হাজারো মানুষের করতালি মুখরিত করে তোলে সভাঙ্গন। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সুশীলসমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেরসকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরের মানুষের পক্ষ থেকে শুরু হয় ফুলেল শুভেচ্ছা ও উষ্ণ সংবর্ধনা। এ সময় এমপি টগরকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ সংবর্ধনা দেয়, জীবননগর উপজেলা আ.লীগ, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগ, দর্শনা পৌর আ.লীগ, জীবননগর পৌর আ.লীগ, জীবননগর মহিলা আ.লীগ, জীবননগর উপজেলা যুবলীগ, কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন, কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে, জীবননগর উপজেলা জাসদ, দর্শনা পৌর জাসদ, নতিপোতা ইউনিয়ন আ.লীগ, কেরুজ মাসুদ সংগঠন, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আ.লীগ, ইব্রাহিমপুর সাইফুল, মিলন ও খুশির পক্ষ, কেরুজ তৈয়ব সংগঠন, কেরুজ মোস্তাফিজুর রহমান সংগঠন, কেরুজ সবুজ সংগঠন, দর্শনা রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আ.লীগ, ৮১ ব্যাচ বন্ধন, কেরুজ হাইস্কুল, দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, জীবননগর উপজেলা ছাত্রলীগ, জীবননগর পৌর ছাত্রলীগ, জীবননগর কলেজ, দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, দর্শনা লিটিল এনজেলস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগ, শিবনগরের পক্ষ থেকে করিম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগ, তিতুদহ ইউনিয়ন আ.লীগ, দর্শনা রেল বাজার দোকান মালিক সমিতি, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ, সীমান্ত ইউনিয়ন আ.লীগ, প্রেসক্লাব দর্শনা, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হাসাদহ ইউনিয়ন আ.লীগ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগ, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগ, বড়শলুয়া মডেল কলেজ, সাবেক জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিয়া, অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা ওমেন্স ক্লাব, রায়পুর ইউনিয়ন আ.লীগ, জীবননগর উপজেলা কৃষক লীগ, দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা, কার্পাসডাঙ্গা মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন, দর্শনা সিগনেচার, দর্শনা আজমপুর, এমপি আলী আজগার টগরের পরিবার, মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড লাবীব ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তারকা সঙ্গীত শিক্ষালয়, ট্যাঙ্কলরি শ্রমিক ইউনিয়ন, দামুড়হুদা দলিল লেখক সমিতি, দর্শনা ফুলঘর ও ভৈরবী সংগঠন। পরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা।

সভায় প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত এমপি আলী আজগার টগর বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্নদোষ্টা, বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা, স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা দেশে হয়েছে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড। কিন্তু আ.লীগের উন্নয়ন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত দেশে সৃষ্টি করে চলেছে অরাজকতা। আমরা দেশের মানুষের সহযোগিতায় তাদের সকল অপচেষ্টা নস্যাৎ করে এগিয়ে যাচ্ছি। ওরা যতোই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করুক না কেন এ বাংলার মাটিতেই ওই সকল আল-বদর রাজাকারদের বিচারের রায় কার্যক্রর করা হবে। দেশে এখন বইছে উন্নয়নের ধারা। আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাসী। তাই যথাসময়ে সংবিধানিকভাবে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছি। দেশের মানুষ আ.লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ভোটের মাধ্যমে আবারো আমাদের নির্বাচিত করে সরকার গঠনে রায় দিয়েছে। আ.লীগ কখনো সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অপচেষ্টা করছে এবং গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করছে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করা হবে। বিগত খালেদা-নিজামি সরকার দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। ফলে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছিলো নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু আ.লীগ সরকার দেশ পরিচালনা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অপরাধীদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো, আবারো সেই মানবতাবিরোধী অপশক্তি স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারায় মেতেছে। তাই আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বাংলার মাটিতে যুদ্ধপরাধীদের বিচার অব্যাহত রাখি। সবশেষে বলতে চাই, পুনরায় আপনারা আমাকে যে ভালোবাসা দিয়ে এলাকাবাসীর সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন, অবহেলিত জনপদের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগের মতো এবারো আপনাদের সহযোগিতা কামরা করছি। দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুর সভাপতিত্বে সংবর্ধনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিয়া, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, জেলা স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রান্টু, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আ. লতিফ অমল, জাহাঙ্গীর আলম, শফিকুল আলম, হাফিজুর রহমান, খলিলুর রহমান ভুট্টো, আ. করিম, বরকত আলী, মুনতাজ আলী, শওকত আলী, নজির আহম্মেদ, আবু সাঈদ খোকন, আবু তালেব, হামিদুল্লাহ, জাফর মিয়া, মোমিন মাস্টার, মিজানুর রহমান টিপু, আলী হোসেন মাস্টার, আব্বাস আলী, তাহাজ্জত আলী, কেরুজ কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম, মোস্তাফা কামাল, শেখ মো. শাহবুদ্দিন, শ্রমিকনেতা জয়নাল আবেদীন, মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, তৈয়ব আলী, মাসুদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, সবুজ, রিকশা-শ্রমিক নেতা হবা জোয়াদ্দার, মোটরশ্রমিক নেতা ইমরান খান চিনা, আলাল হোসেন, আ.লীগ নেতা মোমিনুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, আ. রফিক কাবি, আলী মুনসুর বাবু প্রমুখ। আ.লীগ নেতা গোলাম ফারুক আরিফের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগ নেতা শফিউল কবির ইউসুফ, আবু তালেব, আ. হান্নান ছোট, সাবির হোসেন মিকা, আজিজুর রহমান বাবু, মারুফ আহেম্মদ, শেখ আসলাম আলী তোতা, জয়নাল আবেদীন নফর, ইকবাল হোসেন, মামুন শাহ, সলেমান কবির, আ. সালাম বিশ্বাস, মিন্টু বিশ্বাস, রেজাউল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, হাফিজ মল্লিক, ফয়সাল, আসাদুল, ছাত্রলীগ জামিরুল ইসলাম, সাজু আহম্মেদ, মিঠু বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম ববি, নাহিদ পারভেজ, আলামিন, মনির সরদার প্রমুখ।