চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল সড়কে ছিনতাইকারীদের তাণ্ডব : ওষুধের দোকানে ডাকাতি

 

রোগীর লোকজন ও ট্রেনযোগে রাতে ফেরা রিকশা আরোহীরাই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কে গভীররাতে ছিনতাইকারীরা একের পর এক ছিনতাই করলেও ধরা পড়ছে না তারা। উঠতি বয়সী একদল ছিনতাইকারী মাঝে মাঝেই সড়কে ছিনতাই করছে। গতপরশু রাত আড়াইটার দিকে তারা হাসপাতাল সড়কের রাজধানী ক্লিনিকের বিপরীতের সন্ধানী মেডিকেল হলে ডাকাতি করেছে। নগদ টাকা, সোনার গয়না ডাকাতির পর দোকানের মধ্যে মালিক ও কিশোর ছেলেসহ স্ত্রীকে আটকে সটকে পড়ে। এ সময় তারা একই সড়কে এক রিকশা আরোহীর নিকট থেকেও ছিনিয়ে নিয়েছে নগদ টাকা। এ ঘটনা জানাজানির পর এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের হাসপাতাল সড়ক রাতের অধিকাংশ সময়ই অরক্ষিত হয়ে পড়ে। মাঝে মাঝে পুলিশি টহল লক্ষ্য করা গেলেও ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা সুযোগ বুঝে ছিনতাইয়ে মেতে ওঠে। বিশেষ রোগী নিয়ে হাসপাতালের দিকে ছোটা সাধারণ মানুষসহ ট্রেনযোগে রাতে ফেরা রিকশা আরোহীরাই ছিনতাইয়ের শিকার হন। গতপরশু রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাসপাতাল সড়কের টহল দল এলাকা ত্যাগ করে। এরপরই উঠতি বয়সী একদল ছিনতাইকারী সড়কে অপতৎপরতায় মেতে ওঠে। এ সময় হাসপাতাল সড়কের রাজধানী ক্লিনিকের বিপরীতের সন্ধানী মেডিকেল হল নামক ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট বাবলু হোসেন, তার স্ত্রী ও কিশোর পুত্রকে নিয়ে পরিষ্কার পরিছন্নতার কাজ করছিলেন। সড়কে মুখোশধারী ছিনতাইকারী চক্রটি ওষুধের দোকানে হানা দেয়। ধারালো অস্ত্রের মুখে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের সন্তানকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় সোনার এক জোড়া দুল, নগদ ১৭ হাজার ৫শ টাকা। ডাকাতির পর তারা দোকানিসহ তিনজনকে দোকানের মধ্যে আটকে শাটার টেনে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। তালা লাগানোর পর শাটারের নিচ দিয়ে চাবির গোছা দোকানের ভেতরে দিয়ে দিব্যি সড়কে হাঁটতে থাকে। এ সময় সামনে পড়ে এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালক। তার ও তার রিকশায় থাকা আরোহীর নিকট থেকে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছিনতাইকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। দোকানে বন্দি দোকানির চিৎকারে প্রভাতী বিদ্যালয়ের অদূরে থাকা নৈশপ্রহরী ছুটে আসেন। হাসপাতালে সর্বশেষ খোঁজ নিতে যাওয়া সাংবাদিক দলও তখন সেখানে পৌঁছান। ততোক্ষণে ঘড়ির কাঁটা রাত ৪টা ছুঁই ছুই। খবর পেয়ে টহলে থাকা সদর থানার এসআই আতিকুর রহমান, এএসআই তকিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করলেও কোনো লাভ হয়নি।

ওষুধের দোকানি চুয়াডাঙ্গা তালতলার বাবুল হোসনে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, স্ত্রী ও সন্তান খুলনা থেকে ট্রেনযোগে রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছায়। রাতে বাড়ি তালতলায় ফিরতে সমস্যা হতে পারে ভেবে আমরা দোকানেই অবস্থান করতে থাকি। অকারণে বসে থাকার চেয়ে দোকানের মালামাল সাজানোসহ পরিষ্কারের কাজ করতে শুরু করি। আনুমানিক আড়াইটার দিকে মুখোশধারী কয়েকজন দোকানে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি করতে থাকে।