চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে আন্তঃস্কুল ফুটবল খেলার পর রাস্তায় দু পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া : মারামারি

 

সরোজগঞ্জে সড়ক অবরোধ বাস ভাঙচুর : বাধার মুখে বিজিবি টহলদলের লাঠিচার্জ

সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আন্তঃস্কুল ফুটবল খেলায় সৃষ্ট বিরোধে হামলার শিকার হয়ে সরোজগঞ্জে ফিরে সড়ক অবরোধ গড়ে তোলে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনতা। ক্ষুব্ধদের নিক্ষেপ করা ইটে বাসের কাঁচও ভেঙেছে। এরই এক পর্যায়ে ঝিনাইদহ থেকে ফেরা বিজিবির একটি টহলদল সরোজগঞ্জে পৌঁছে বাধার মুখে পড়ে লাঠিচার্জ শুরু করে। পথচারীসহ দু সাংবাদিক আহত হন। এ ঘটনায় উত্তেজনার মাত্রা তীব্রতর হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আন্তস্কুল ফুটবল খেলা গতকাল সোমবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় মুখোমুখি হয়। খেলার শেষের দিকে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষে ১টি গোল হয়।দানা বাধে বিরোধ। খেলা শেষে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্ররা স্টেডিয়ামের বাহিরে এলে সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা তাদের ওপর হামলা চালায়। ইট মারতে শুরু করে। দু পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সরোজগঞ্জের শিক্ষার্থীরা সরোজগঞ্জে ফিরে ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সড়ক অবরোধ গড়ে তোলে। সন্ধ্যা ৭ থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখে। যাত্রীবাহী ১ বাস ভাঙচুর করে তারা। এ সময় ঝিনাইদহ থেকে বিজিবির টহল গাড়ি ব্যাটালিয়ন সদর দফতর জাফরপুরে ফেরার সময় সরোজগঞ্জ বাজারে প্রতিরোধের মুখে পড়ে। শুরু করে লাঠিচার্জ। এতে স্থানীয় পত্রিকার ২ সাংবাদিকসহ এক পথচারীকে পিটিয়ে আহত করে।সাংবাদিকদের নিকট থাকা ক্যামেরা মোবাইলফোন ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। সাংবাদিক মোস্তফা মানিক(২৬),আরিফুল ইসলাম লিন্টু (৩৬) ও নবীননগর গ্রামের জুয়েল (১৪)। সে পথচারী বলে দাবি করেছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ইনচার্জ সেকেন্দার আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিজিবি হামলায় দু সাংবাদিককে আহত করাই আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সারোজগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিটের প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে ৬ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোবাইলফোনে মাথাভাঙ্গাকে বলেছেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। টহলদল হামলার শিকার হওয়ার কারণে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এরপরও সাংবাদিক আহত হয়েছে জেনে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।