চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে একদিনেই জ্বরে আক্রান্ত ২৩ রোগী ভর্তি ॥ চিকনগুনিয়ায় কি-না তা পরীক্ষা নিরীক্ষার গুরুত্বারোপ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল শনিবার একদিনেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপতালে জ্বরে আক্রান্ত ২৩ নারী পুরুষ ভর্তি হয়েছে। এসব রোগী কি চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত? এ প্রশ্নের জবাবে হাসপাতালের মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. আবুল হোসেন বলেছেন, এখনও পর্যন্ত আমরা চুয়াডাঙ্গায় চিকনগুনিয়ায় রোগী পাইনি। তবে একদিনেই বেশ ক’জন জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের সিমটম দেখে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়ায় যাবে, এরা চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত কি-না।
ঢাকার পর সারাদেশেই চিকনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্তদের দুর্ভোগের বর্ণনা শুনে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চুয়াডাঙ্গায় এখনও পর্যন্ত চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে পাওয়া যায়নি বলে চিকিৎসক জানালেও অনেকেই বলেছেন, ওই রোগে আক্রান্ত হলে যেমন ব্যথাসহ আঘাতের যন্ত্রণা অনুভূত হয়, তীব্র জ্বরের সাথে সাথে তেমনই মনে হচ্ছে আমাদের। অবশ্য এরকম মন্তব্যকরাদের কে কখন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ১৫ জন পুরুষ ও ৮ জন নারী তীব্র জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। একদিনে জ্বরে আক্রান্ত এতো রোগীর হাসপাতালে ভর্তি অস্বাভাবিক নয় বলে জানিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, এমনিতেই আবহাওয়া পরির্তনের সময় ইনফ্লুয়েনজা দেখা দেয়। সাধারণ সর্দি কাশিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বর্ষায় বাড়ে। এবারও বেড়েছে। তাই বলে চিকনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই।