চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালালের খপ্পরে শিশু রোগীর বাবা : চোর দালালসহ অনিয়ম রুখতে স্থাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা

স্টাফ রিপোর্টার: হাসপাতালে ছিঁচকে চোর আর দালালদের উৎপাত রুখতেই শুধু নয়, কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ কর্মরতদের কে কি করছেন তা দেখে জবাবদিহিতার আওতায় নেয়ার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা। এরই অংশ হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। গতকাল মঙ্গলবার জনি নামের এক কথিত দালাল গ্রাম্য এক শিশু রোগীর পিতার নিকট থেকে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর শুনে সিভিল সার্জন এরকমই তথ্য দিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার বিশেষ উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়ভাবে উন্নয়নেরও কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর মাঝে দালাল ও চোরচক্রের অপতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে স্থানীয়রা বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইব্রাহিমপুরের আবুল গাইনের ছেলে রুস্তম আলী তার শিশু সন্তানের চিকিৎসা দেয়ার জন্য সদর হাসপাতালে যান। টিকেট নেন। পড়ে গিয়ে হাতে গুরুতর চোট পেয়ে অসুস্থ ছেলেকে অর্থোপেডিক সার্জন ডা. আবু বক্করকে দেখানোর জন্য তার কক্ষটি দেখিয়ে দেয়ার জন্য একজনকে বলেন। তিনি যে বহিরাগত কথিত দালাল তা বুঝতেই পারেননি রুস্তম। ডা. আবু বক্কর ছুটিতে রয়েছেন বলে জানিয়ে ওই কথিত দালাল রুস্তমকে নিয়ে যান হাসপাতালের বাইরে। হাসপাতাল ছাড়া বাইরের কোনো চিকিৎসককে দেখাবেন না বলে জানালে ওই দালাল হাসপাতালেই ডাক্তার দেখিয়ে দিচ্ছি বলে ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে রুস্তমের নিকট থেকে দালালের বর্ণনা শুনে ডেকে আনা হয় জনি নামের একজনকে। সে টাকা ফেরত দিয়ে পার পায়। এ ধররের দালালের উৎপাত দীর্ঘদিনের। এছাড়া নেশাখোর চোরের উৎপাত তো আছেই। সম্প্রতি এক রোগীর পাশে থাকা রোগীর স্ত্রীর গলা ও কান থেকে সোনার গয়না পর্যন্ত খুলে নিয়ে পালিছে চোর। এসব অপরাধীদের রুখতে এবং হাসপাতালের নানা অনিয়ম জবাবদিহিতার আওতায় নেয়ার জন্যই স্থাপন করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। ইতোমধ্যেই ক্যামেরা স্থাপনের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে।