চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অসহায় রোগীদের হয়রানির সময় দু মহিলা দালাল আটক : ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দালালদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ সদর হাসপাতালে আসা অসহায় রোগীরা। প্রতিদিন এদের সংখ্যা যেন বেড়েই চলেছে। শুধু পুরুষেরা নয়, অত্যন্ত কৌশলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মহিলা দালালরাও। জেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নিষেধ করলেও তা উপেক্ষা করেই নিয়মিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা। দালালদের ধরতে জেলা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর হাসপাতালে অসহায় রোগীদের হয়রানি করার সময় দু মহিলা দালালকে আটক করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামানের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। তারা তাদের দোষ স্বীকার করে এবং ওই ধরনের কাজ আর করবে না শর্তে মুচলেকা দেয়ায় প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডিতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের মৃত দিনু মোল্লার মেয়ে মৌ খাতুন (৩৪) ও সদর উপজেলার নীলমণিগঞ্জ গ্রামের ইছাহক মণ্ডলের মেয়ে নাছিমা খাতুন (৩২)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধের জন্য একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই তারা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অসহায় রোগীদের হয়রানি করে আসছিলো। এতে চিকিৎসকদের কার্যক্রমেরই শুধু ব্যাঘাত ঘটেনি। নষ্ট হতে বসেছিলো হাসপাতালের পরিবেশ। গতকাল ওই ধরনের কর্মকাণ্ড করার সময় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা তাদের আটক করেন। পরে তাদের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করা হয়। অপরাধ স্বীকার ও ভবিষ্যতে আর করবে না বলে মুচলেকা দেয়ায় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান। দালালদের হয়রানিরোধে ওই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা।