চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অডিট দলের ঘুষ দাবি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসা অডিট দল ঘুষ দাবি করেছে। হাসপাতালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি পাওয়ার কারণে ওই অডিট দল উৎকোচ চেয়েছে বলে হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তার অভিযোগ করেছেন। সিভিল অডিট অধিদপ্তরের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার তাদের অডিট শেষ করে।

জানা গেছে, পাঁচ বছর পর পর হাসপাতালে অডিট হয়। ঢাকা সেগুন বাগিচার সিভিল অডিট অধিদফতর থেকে আসা অডিটদল গত ২২ মে থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অডিট কার্যক্রম চালায়। ৯ দিনব্যাপী চলা অডিট সোমবার সম্পন্ন হয়। অডিটে হাসপাতালের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অনুসন্ধান পায় অডিটদল। তারা জানান, হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি। এছাড়া বেতনের চেয়ে টাকা বেশি উত্তোলন, হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স কোয়ার্টার অব্যবহৃত হওয়া, ওষুধের হিসাবে গরমিলসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র ধরা পড়েছে অডিটদলের কাছে। আর এই অনিয়ম-দুর্নীতিকে পুঁজি করে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডাক্তার অভিযোগ করেন। অডিটদলের নেতৃত্বে আছেন সিভিল অডিট অধিদফতরের অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক। অন্য সদস্যরা হলেন, অডিট সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ ও অডিটর মো. কিবরিয়া।

সূত্র জানায়, দাবিকৃত উৎকোচের টাকা ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের কাছ থেকে আদায় করছেন হাসপাতালের স্টোরকিপার আবদুল হাদী। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. মাসুদ রানা দৈনিক মাথাভাঙ্গার কাছে অকপটে স্বীকার করলেন। তিনি বলেন, টাকা না দিলে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় এবং অর্থেরও অপচয় ঘটে। অডিট দলের প্রধান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, হাসপাতালে অনেক অনিয়ম ধরা পড়েছে। এ কারণে অভিযুক্তরা টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। আর বোঝেনই তো টাকার প্রতি টান সবারই থাকতে পারে।