চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলায় পুলিশের অভিযান : জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল রোববার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ধর্ষণে জড়িতদের শনাক্তের জন্য কলেজছাত্রীর প্রেমিককে থানায় ডাকা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে সদর থানার ওসি তদন্তের জন্য হাসপাতালে গিয়ে ধর্ষণে ব্যবহৃত কক্ষটি পরিদর্শন শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তালাবদ্ধ রাখার জন্য বলেন।

গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম তদন্তের জন্য হাসপাতালে যান। এ সময় ধর্ষণে ব্যবহৃত ওই কক্ষটি পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শন শেষে ওই কক্ষের পুরোনো তালা নিয়ে নতুন করে তালাবদ্ধ রাখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেন থানার ওসি। হাসপাতালের পরিত্যক্ত ওই কক্ষ ব্যবহারকারী দুজনকে হাসপাতালে ডেকে ধর্ষণের সময় তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাই পুলিশ। এ সময় হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক আরিফের কথায় অসঙ্গতি পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নেয়া হয়।

এদিকে কলেজছাত্রীর প্রেমিক বলেছে কয়েকজন তার গলায় ছুরি ধরে এবং একজন প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে। আমি তাদেরকে দেখলেই চিনতে পারবো।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জসিম উদ্দীন জানান, আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। ওই কক্ষের চাবি ধর্ষকরা আরিফের কাছে থেকে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে সে। তবে তাদের মধ্যে শুধু আসিফের ছাড়া আর কারো নাম জানেনা, দেখলে চিনতে পারবে বলেও জানিয়েছে আরিফ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতরাতে আরিফকে থানায় রাখা হয়।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন থানায় গিয়ে আরিফ ও ছাত্রীর প্রেমিকের সাথে কথা বলেন। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন তিনি।