চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়ার কনসালটেন্ট পদগুলোর অধিকাংশই শূন্য

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই নেই নেই। গতকাল ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া রোগীর অস্বাভাবিক চাপে হিমসিম খেতে হয়েছে সেবিকা, চিকিৎসকসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ সকলকে। রোগীর চাপের পাশাপাশি বাড়তি দর্শনার্থীদের কারণেও হাসপাতালে উপচেপড়া রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসার পদ নেই। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারদের দিয়েই পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করানো হয়। এতে বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগে সেবাদান ব্যাহত হয়। তা ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক পদটি শূন্য। সিনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, সিনিয়ার কনসালটেন্ট মেডিসিন, সিনিয়র কনসালটেন্ট পেড. সিনিয়ার কনসালটেন্ট অর্থোসার্জারি, জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিয়া, জুনিয়ার কনসালটেন্ট রেডিওলজি পদগুলো শূন্য। তাছাড়া আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদটিও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় একজন মেডিকেল অফিসারকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে। গতকাল শনিবার ২৪ ঘণ্টায় প্রায় দেড়শ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি যেমন ফুটে ওঠে, তেমনই সেবিকা সংকটের বিষয়টিও পদে পদে অনুভূত হয়। যদিও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে সিনিয়ার স্টাফ নার্স ও স্টাফ নার্স পদগুলো শূন্য নেই। তবুও প্রয়োজনের তুলনায় যে কম তা গতকালের দৃশ্য দেখে বার বারই মনে হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের দিকে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু দৃষ্টি প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগীরা মন্তব্য করেছেন।