চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডা. সুমি রোগীর আত্মীয়কে সাথে নিয়ে আটক করলেন নারী চোর : পুলিশ দিলো ছেড়ে

শামসুজ্জোহা রানা: এবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শিরিন জেবিন সুমি রোগীর লোকদের সাথে নিয়ে নারী চোরকে আটক করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বহির্বিভাগে রোগীর চিকিৎসা দেয়ার সময় রোগীর সোনার চেইন নিয়ে পালানোর সময় তিনি নারী চোরকে হাতে নাতে আটক করেন। পরে তাকে পুলিশে দিলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে মাঝে মধ্যেই রোগী ও রোগীর সাথে থাকা স্বজনদের নগদ টাকাসহ ছোট খাটো চুরি হয়ে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অপরাধ রোধে নানামুখি উদ্যোগ নিলেও কিছুতেই রোধ করতে পারছে না। আর উদ্যোগটাও যেন দ্বায়সারামতো। উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে হাসপাতালে পুলিশ পাহারারও ব্যবস্থা করেছে পুলিশ সুপার। এছাড়াও ব্যবস্থা করেছে সিসি টিভি ক্যমেরার। এরই মাঝে গতকাল বৃহস্পতিবার হাসাপাতালের বহির্বিভাগে আছিয়া খাতুন নামে জনৈক এক মহিলা চিকিৎসা সেবা নিতে আসে মেডিকেল অফিসার ডা. শিরিন জেবিন সুুমির নিকট। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে আছিয়া নামের ওই মহিলার চেইন নিয়ে পালাচ্ছিলো এক মহিলা চোর। এ সময় ডা. সুমির নজরে আসলে তিনিই প্রথমে চোর ধরে। তারপর চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা এগিয়ে গিয়ে ওই নীর চোরকে আটক করে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. শিরিন জেবিন সুমি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে আমি হেলথ এডুকেটর দেলোয়ার হেসেনের নিকট দিই পুলিশে দেয়ার জন্য। হেলথ এডুকেটর দেলোয়ার হেসেন জানান, হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশের নিকট আমি নারী চোরকে হস্তান্তর করেছি। কর্তব্যরত পুলিশ নায়েক ইব্রাহীম জানান, ওই নারীকে আমাদের নিকট দিয়েছিলো। কিন্তু পরে চোরের সাথে চেইনওয়ালা মালিকের আপস হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।